অক্সফ্যামের মতে, বিভিন্ন দেশে জলের মতো জরুরি ক্ষেত্রে খরচ কমায় খাটনি বেড়েছে মেয়েদের। প্রতীকী ছবি।
প্রথমে অতিমারিতে কাজ হারানো ও তার পরে বিভিন্ন দেশে মূল্যবৃদ্ধি যুঝে অর্থনীতিতে গতি আনতে অত্যাবশ্যক পরিষেবায় বরাদ্দ ছাঁটাই। এই দুইয়ের জেরে মহিলারা আরও বেশি করে দারিদ্রসীমার নীচে তলিয়ে যাচ্ছেন বলে জানাল অক্সফ্যাম। ‘দি অ্যাসল্ট অব অস্টারিটি’ শীর্ষক রিপোর্টে তাদের দাবি, বিশ্বে ২০২০ সালের চেয়ে গত বছরে মহিলাদের নিয়োগ কমেছে। আর তাঁদের শ্রম, সুরক্ষা এবং জীবনের উপরে দাঁড়িয়েই রাস্তা তৈরি হচ্ছে করোনা পরবর্তী আর্থিক বৃদ্ধির।
এই অবস্থায় তাঁদের সুরাহা দিতে দেশগুলিকে এগিয়ে আসতে বলেছে উপদেষ্টা সংস্থাটি। তাদের মতে, বিভিন্ন দেশের সরকার খরচ ছেঁটে ২০২৩ সালে যে টাকা বাঁচানোর কথা ভাবছে, ধনীদের উপরে বাড়তি কর বসিয়েই আসতে পারে তার থেকে অতিরিক্ত ১ লক্ষ কোটি ডলার। পাশাপাশি, বিভিন্ন দেশকে দেওয়া ঋণের ক্ষেত্রে খরচ কমানোর শর্ত থেকে সরে আসতে বলেছে আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডারকে। ধনী দেশগুলিকে পিছিয়ে পড়া অর্থনীতিগুলিকে বিনা সুদে ঋণ দেওয়ার দাবিও করেছে তারা।
উল্লেখ্য, ভারত-সহ সারা বিশ্বই পুড়ছে মূল্যবৃদ্ধির আগুনে। তার থেকে বাঁচতে সুদ বাড়াচ্ছে শীর্ষ ব্যাঙ্কগুলি। পাশাপাশি, বিভিন্ন প্রকল্পে বরাদ্দ কমাচ্ছে সরকার। ভারতেও একশো দিনের কাজের খরচ কমেছে। গ্রামে যে প্রকল্পে বেশি কাজ করেন মহিলারা। চড়া বেকারত্বের সময়ে বরাদ্দ ছাঁটাই গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলছে বলে জানাচ্ছে বিভিন্ন মহলই।
অক্সফ্যামের মতে, বিভিন্ন দেশে জলের মতো জরুরি ক্ষেত্রে খরচ কমায় খাটনি বেড়েছে মেয়েদের। মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে যুঝে সকলের দায়িত্ব নিতে হওয়ায় ২০২০ সালে বাড়তি ৫১২০০ কোটি ঘণ্টা কাজ করতে হয়েছে পারিশ্রমিক ছাড়াই। ফলে শরীরও খারাপ হচ্ছে দ্রুত। এই সব কারণেই ব্যয় সঙ্কোচের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে মহিলাদের কথা মাথায় রাখা উচিত বলে মনে করে উপদেষ্টা সংস্থাটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy