২৯ হাজারে পৌঁছে গেল সেনসেক্স। নতুন নজির গড়ে বৃহস্পতিবার সূচক বাজার বন্ধের সময়ে থিতু হল ২৯,০০৬.০২ অঙ্কে। এ দিন তার উত্থান হয়েছে ১১৭.১৬ পয়েন্ট।
সূচকের দৌড় শুরুর জমি তৈরিই ছিল। প্রয়োজন ছিল শুধু বাঁশি বাজানোর। গত ১৫ জানুয়ারি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সুদ কমানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সেই বাঁশিটিই বাজানোর পরে টানা দৌড় শুরু হয়েছে সূচকের। মাত্র গত ছ’দিনেই সেনসেক্স বেড়ে গিয়েছে ১,৬৫৯ পয়েন্ট।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সেনসেক্সের ৩০ হাজারের ঘরে পৌঁছনো শুধু সময়ের অপেক্ষা। তবে বিএনকে ক্যাপিটাল মার্কেটসের এমডি অজিত খান্ডেলওয়ালের মতো বাজার বিশেষজ্ঞ, যাঁরা সূচকের খুব দ্রুত ওঠা পছন্দ করেন না, তাঁদের ধারণা, শীঘ্রই শেয়ার দরে একটা সংশোধন আসবে। অবশ্য ৩০ হাজারে সূচকের পৌঁছনোর ব্যাপারে তাঁদেরও কোনও সংশয় নেই। তবে সেটা কত দিনের মধ্যে ঘটবে, তা নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করতে নারাজ খান্ডেলওয়ালের মতো বিশেষজ্ঞরা।
শেয়ার দর বাড়লেও এ দিন টাকার দাম কমেছে। গত পাঁচ দিন টানা ওঠার পরে এ দিন ডলারের সাপেক্ষে টাকার দাম কমেছে ৭ পয়সা। ওই পাঁচ দিনে টাকার দর বৃদ্ধি পয়েছে ৫৫ পয়সা। এই দিন টাকার দাম পড়ার ফলে বিদেশি মুদ্রার বাজার বন্ধের সময়ে প্রতি ডলারের দাম দাঁড়িয়েছে ৬১.৭০ পয়সা। সাধারণত শেয়ার বাজার চাঙ্গা হলে ডলারের দাম পড়ে। এ দিনও অবশ্য লেনদেনের প্রথম দিকে তার ব্যতিক্রম হয়নি। প্রথমে টাকার দাম বাড়ছিল। প্রতি ডলারের দাম নেমেছিল ৬১.৪৯ টাকায়। কিন্তু পরের দিকে রফতানিকারী ও ব্যাঙ্কগুলি ডলার কিনতে থাকে। তার জেরেই বাড়তে থাকে ডলারের দাম।
তবে বিদেশি মুদ্রা-বাজার বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অনেকেরই ধারণা, শেয়ার বাজার এই হারে চাঙ্গা হতে থাকলে টাকার দাম বাড়বে। এর কারণ বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি তাদের দেশ থেকে ডলারে তহবিল সংগ্রহ করে। সেই ডলার ভারতের বাজারে বিক্রি করে টাকায় পরিণত করে তারা লগ্নি করে শেয়ার বাজারে। এর ফলেই বাজারে ডলারের জোগান বেড়ে গিয়ে তার দাম পড়তে থাকে। ভারতের বাজারে বিনিয়োগের বহর দ্রুত বাড়িয়ে দিয়েছে ওই সব বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থা। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের খবর অনুযায়ী বুধবার তারা দেশের বাজারে ২০৬৫.৪৯ কোটি টাকা লগ্নি করেছে। ওই দিন এখানে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি ৩৪ কোটি ৬০ লক্ষ ডলার ভাঙিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy