প্রতীকী ছবি
সংক্রমণ রুখতে রাজ্য জুড়ে সার্বিক লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে বিধিভঙ্গের অভিযোগে ৫৯ জনকে গ্রেফতার করল বিধাননগর পুলিশ। শনিবারের লকডাউনে বিমানবন্দর থেকে বিধাননগর থানা এলাকায় রাস্তা ছিল শুনশান। সেক্টর ফাইভের তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলিতেও কর্মী হাজিরা ছিল যৎসামান্য। তবু এলাকাবাসীর একাংশের যে এখনও হুঁশ ফেরেনি, তা ফের স্পষ্ট হল।
এ দিন লকডাউন বিধি কার্যকর করতে পথে নামে বিধাননগর পুলিশ। পুর এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নাকা তল্লাশি চালানো হয়। এ দিন গোয়া থেকে আসা ২৯ জন পরিযায়ী শ্রমিককে নিয়ে ধামাখালি যাওয়ার পথে একটি বাসকে বাগুইআটিতে দাঁড় করানো হয়। খাবার খাইয়ে তাঁদের ফের রওনা করানো হবে বলে জানায় পুলিশ। ওই শ্রমিকেরা জানিয়েছেন, গত তিন মাস কোনও কাজ ছিল না। পথেও কোনও রাজ্য সরকারের তরফে সাহায্য মেলেনি।
তবে এ দিনও সাইকেল, মোটরবাইক বা গাড়ি নিয়ে পথে বেরিয়েছিলেন অনেকে। যথাযথ কারণ বা নথি না দেখাতে পারায় বিভিন্ন থানা এলাকায় ১২৩ জনকে ধরা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৩১টি গাড়ি ও বাইক। তার মধ্যে এ দিন সকালে বাগুইআটি থানা এলাকার কেষ্টপুরে দোকান খোলা রাখা এবং মাস্ক ছাড়া বাইরে বেরোনোয় ৩১ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: উড়ান বাতিলে দিনভর ভোগান্তি অসংখ্য যাত্রীর
এ দিনই বিধাননগরের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের এক প্রৌঢ়ার করোনায় মৃত্যু হয়েছে। আগে ওই ওয়ার্ডে ৪০ জন আক্রান্ত হলেও গত এক মাসে সেখানে নতুন করে কেউ সংক্রমিত হননি। কিন্তু সম্প্রতি ফের সেখানে পাঁচ জনের শরীরে উপসর্গ দেখা দেয়। তাঁদের লালারস পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে। সংক্রমিত হয়েছেন ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের এক পুরকর্মীও। পুরসভা সূত্রের খবর, জুনের শেষ থেকে বিধাননগরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। শনিবার পর্যন্ত সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১৬০০ জন। সুস্থ হয়েছেন প্রায় ৭০০ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৮ জনের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy