আটক ম্যাটাডর। নিজস্ব চিত্র
ওড়িশা থেকে কয়েকশো কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে বিস্ফোরক ভর্তি ম্যাটাডর শহরে পৌঁছল কী ভাবে, তার সদুত্তর নেই রাজ্য প্রশাসনের কাছে। তবে এই ঘটনা যে নির্বাচনের আগে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে, তা মেনে নিচ্ছেন অনেকেই। জাতীয় সড়কে পণ্যবাহী গাড়ি ঠিক মতো তল্লাশি হচ্ছে কি না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে।
শুক্রবার রাতে টালা ব্রিজ থেকে পটাশিয়াম নাইট্রেট ভর্তি ম্যাটাডর আটক করেছে কলকাতা পুলিশ। ওই রাসায়নিক বিস্ফোরক তৈরিতে ব্যবহৃত হয় বলে দাবি গোয়েন্দাদের। কলকাতা পুলিশের কমিশনার অনুজ শর্মার বক্তব্য, ‘‘ওড়িশা থেকে বিস্ফোরক এসেছিল। কী ভাবে এবং কোন পথে এত পরিমাণ বিস্ফোরক শহরে ঢুকল, তা নিয়ে তদন্ত হচ্ছে।’’
প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশের অবশ্য দাবি, রাজ্যের অবৈধ বাজি কারখানায় সরবরাহের জন্য পটাশিয়াম নাইট্রেট আনা হতে পারে। কেউ কেউ আবার সার হিসেবে পাচারের কথাও বলছেন। কিন্তু তার সপক্ষে জোরালো যুক্তি মিলছে না। তবে নবান্নের অনেকে এ-ও বলছেন, যাই হোক না-কেন, এই ঘটনাকে লঘু হিসেবে দেখা উচিত হবে না। এক শীর্ষ কর্তার কথায়, ‘‘পুলিশকে ঘটনার নিবিড় তদন্ত করতে বলা হয়েছে।’’ সরকারি আধিকারিকদের একাংশ এ-ও বলছেন, রাজ্যের বেশির ভাগ বাজি কারখানাই অবৈধ। সেগুলিতে বোমা তৈরি হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। ফলে যে প্রশাসনিক কর্তারা বাজি কারখানার তত্ত্ব দিয়েছেন, তাঁরাও পরোক্ষে রাজ্যে বেআইনি বাজি কারখানা চলার কথা মেনে নিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে রাজ্য প্রশাসনের এক পদস্থ কর্তা বলছেন, ‘‘অবৈধ বাজি কারখানার বিরুদ্ধে আগেও অভিযান হয়েছে। প্রয়োজনে আবার হবে।’’
আরও পড়ুন: গাড়িতে ১০০০ কেজি বিস্ফোরক
প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকদের অনেকে মনে করছেন, নির্বাচন ঘোষণার পরে এই বিস্ফোরক উদ্ধারের বিষয়টি নতুন মাত্রা নিতে পারে। রাজ্যে দুষ্কৃতীদের দাপট প্রমাণ করতে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি এই বিষয়টিকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের কাছে নালিশ জানাতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy