Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

‘মা মেরেছে’, একাই হাসপাতালে রক্তাক্ত বালক

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে অশোক দাস (নাম পরিবর্তিত) নামে ওই বালকটি কানাইপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসে। তার মাথা ফেটে গিয়েছিল।

প্রাথমিক চিকিৎসার পর। নিজস্ব চিত্র

প্রাথমিক চিকিৎসার পর। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
উত্তরপাড়া শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:৫০
Share: Save:

মাথা ফাটা, চোখের নীচে আঘাত— রক্তাক্ত আট বছরের ছেলেটি আহত অবস্থায় একাই চলে এসেছিল হাসপাতালে। জানিয়েছিল, মা মেরেছে। শিশুটির ওই অবস্থা দেখে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা উদ্যোগী হয়ে পুলিশের মাধ্যমে চাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করে। তাকে হোমে পাঠানো হয়েছে। শনিবার হুগলির কানাইপুরের ঘটনা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে অশোক দাস (নাম পরিবর্তিত) নামে ওই বালকটি কানাইপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসে। তার মাথা ফেটে গিয়েছিল। চোখের নিচে কালশিটে ছিল। গালেও আঘাতের দাগ ছিল। হাসপাতালে তার চিকিৎসা করা হয়। খবর পেয়ে স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা সেখানে যান। বাচ্চাটিকে নিয়ে তাঁরা তার মায়ের কাছে যান।

কানাইপুরেরই বাঁশাই কলোনিতে কাপড়ে ঘেরা ঘরে অশোককে নিয়ে থাকেন তার মা। মহিলা তাঁদের বলেন, তিনি বিহারে স্বামীর সঙ্গে থাকতেন। পরে ছেলেকে নিয়ে এখানে চলে আসেন। কেন তা জানাতে চাননি তিনি। কিন্তু তিনি দাবি করেন, ছেলে কথা শোনে না বলেই তিনি শাস্তি দিয়েছেন। প্রয়োজনে ফের শাস্তি দেবেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা অবশ্য দাবি করেছেন, মহি‌লা ভারসাম্যহীন। এর পরেই ওই সংস্থার সদস্যরা ছেলেটিকে কানাইপুর ফাঁড়িতে নিয়ে যান। চাইল্ড লাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পুলিশের তরফে ছেলেটিকে চাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির (সিডব্লিউসি) নির্দেশে তাকে মগরার একটি বেসরকারি হোমে পাঠনো হয়েছে। ওই কমিটির নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।

উদ্ধারকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটির তরফে কমলেশ কর বলেন, ‘‘ছেলেটি গুরুতর আহত ছিল। মায়ের কাছে থাকবে না বলছিল। ওর পড়াশোনার ব্যবস্থা করলে ভাল হয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Injury Child Beating
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE