Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

পশ্চিমে ফের পজ়িটিভ দুই

পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তি যে গ্রামের বাসিন্দা সেটিকে ‘সিল’ করা হয়েছে। তাঁর প্রত্যক্ষ  ও পরোক্ষ সংস্পর্শে আসাদের হোম কোয়ারান্টিন করা হয়েছে।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঘাটাল ও মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০২০ ০২:৩৪
Share: Save:

একদিনও গেল না। ঘাটাল মহকুমার গণ্ডিবদ্ধ এলাকার সংখ্যা ফের বেড়ে গেল। এ বার ঘাটাল থানা এলাকার এক ব্যবসায়ী কলকাতায় চিকিৎসা সূত্রে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে তাঁকে পাঁশকুড়ার বড়মা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তি যে গ্রামের বাসিন্দা সেটিকে ‘সিল’ করা হয়েছে। তাঁর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সংস্পর্শে আসাদের হোম কোয়ারান্টিন করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ঘাটালের ওই বাসিন্দা হৃদরোগের রোগী। মাঝে মধ্যে তিনি কলকাতায় গিয়ে চিকিৎসা করান। গত ১৫ মে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। ২২ মে ফের ওই হাসপাতালে যান। তখনই তাঁর করোনা-সহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়। স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানান, ওই ব্যবসায়ী মোটের উপরে সুস্থ ছিলেন। তাই করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসার আগেই তাঁকে ছেড়ে দেয় কলকাতার ওই হাসপাতাল। তারপরে মঙ্গলবার রাতে নিজেই পজ়িটিভ হওয়ার কথা পুলিশকে জানান ওই ব্যবসায়ী।

স্বাস্থ্য দফতর ও পুলিশ সূত্রে খবর, ঘাটালের যে এলাকায় ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি সেখানেই কয়েকশো পরিযায়ী শ্রমিক দিন কয়েকের মধ্যে বাড়ি ফিরেছেন। তাঁদের মধ্যে গুজরাত, দিল্লি ও মহারাষ্ট্র থেকে ফেরতও আছেন অনেকে। তাই ঘাটালের ওই গ্রামের আনাজ বাজার-সহ লাগোয়া এলাকায় বাড়তি নজরদারি শুরু করেছে পুলিশ।

কেশপুরের ঝেঁতলার বাসিন্দা এক পরিযায়ী শ্রমিকও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি সদ্য দিল্লি থেকে ফিরেছিলেন। করোনা পরীক্ষার জন্য তাঁর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। মঙ্গলবার মেদিনীপুর মেডিক্যালে সেই নমুনার পরীক্ষা হয়েছে। রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। বুধবার ওই পরিযায়ী শ্রমিককে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার করোনা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কেশপুরের ওই এলাকা বুধবার ‘সিল’ করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৪ মে ট্রেনে করে খড়্গপুরে ফিরেছিলেন তিনি। সেখান থেকে বাসে করে মেদিনীপুরের এক নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্রে আসেন। সেখান থেকে বাসে করে কেশপুরে ফিরে স্থানীয় এক স্কুলের কোয়রান্টিন সেন্টারে ছিলেন তিনি। সেখানে তাঁর সঙ্গে আরও একাধিক যুবক ছিলেন।জেলার এক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, কেশপুরের ওই যুবকের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ সংস্পর্শে কারা এসেছেন তা দেখা হচ্ছে। সম্প্রতি মুম্বই ফেরত কেশপুরের বাসিন্দা তিনজন পরিযায়ী শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁরা এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ বার দিল্লি ফেরত কেশপুরের বাসিন্দা একজন পরিযায়ী শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হলেন।

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, “কলকাতায় চিকিৎসা সূত্রে ঘাটালের ওই বাসিন্দার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। নিয়ম মেনে পদক্ষেপ করা হয়েছে।” তিনি জানান, কেশপুরের একজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। উনি দিল্লি থেকে ফিরেছেন।

তবে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুধবারের বুলেটিনে অবশ্য গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিম মেদিনীপুরে ১ জন নতুন করে আক্রান্ত বলা হয়েছে। ওই বুলেটিনে ঝাড়গ্রাম জেলায় নতুন করে ৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। তবে তাঁরা জেলার কোথাকার বাসিন্দা সেটা বুধবার রাত পর্যন্ত জেলা সূত্রে জানা যায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Paschim Midnapore
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE