Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

করোনা মুক্ত আরও ২, রিপোর্ট নেগেটিভ ১১ জনের

পড়শি রাজ্য ওড়িশার এক বাসিন্দার করোনা আক্রান্ত যোগে রামনগরের ১১ জনের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করানো হয়েছিল।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
তমলুক ও হলদিয়া শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০২০ ০০:৩৩
Share: Save:

করোনা জয় করে বাড়ি ফিরলেন হলদিয়া দুই আক্রান্ত।

গত ৫ মে হলদিয়ার ভবানীপুর থানা এলাকার এক ভূষিমাল ব্যবসায়ী করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। পরে ৭ মে ব্যবসায়ীর পরিবারের আরও ৫ জন করোনা আক্রান্ত হন। তাঁরা পাঁশকুড়ার বড়মা করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বৃহস্পতিবার বড়মা থেকে ওই পাঁচ জনের মধ্যে দুই সদস্যকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আপাতত তাঁদের গৃহবন্দি পর্যবেক্ষণে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হলদিয়ার ওই দু’জন ছাড়াও হাওড়ার সালকিয়ার এক বাসিন্দাও এ দিন বড়মা থেকে ছাড়া পয়েছেন বলে খবর। পূর্ব মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘হলদিয়ার মুদি ব্যবসায়ী পরিবারের দুই সদস্যকে এ দিন বড়মা হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’’

অন্যদিকে, পড়শি রাজ্য ওড়িশার এক বাসিন্দার করোনা আক্রান্ত যোগে রামনগরের ১১ জনের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করানো হয়েছিল। বুধবার রাতে সেই পরীক্ষার করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর।

রামনগর-১ ব্লকের একটি গ্রামে ওড়িশার ওই ব্যক্তির শ্বশুরবাড়ি। লকডাউনের মাঝে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। পরে সস্ত্রীক ওড়িশায় ফিরে যান তিনি। সেখানে কোয়রান্টিনে থাকার সময় ওই ব্যক্তির লালারসের নমুনা পরীক্ষা হয় এবং জানা যায়, তিনি করোনা আক্রান্ত।

এর পরেই ওই গত সোমবার রাতে ওই ব্যক্তির শ্বশুরবাড়ির পরিবারের ১১ জনকে চণ্ডীপুরে করোনা হাসপাতালের আইসোলশেনে ভর্তি করানো হয়েছিল। তাঁদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বুধবার রাতে প্রত্যকেরই করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে।

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, করোনা আক্রান্তের তালিকায় এগরা, তমলুক ও হলদিয়া মহকুমার বেশ কয়েকজন নাম থাকলেও এখনও পর্যন্ত কাঁথি মহকুমা এলাকায় করোনা আক্রান্তের হদিস মেলেনি। ফলে ওই এলাকার বাসিন্দাদের হাসপাতালে ভর্তি করানোয় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। তবে রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় সকলেই স্বস্তিতে।

এদিকে, বিভিন্ন রাজ্য ও জেলায় আটকে থাকা পরিযায়ীদের জেলায় ফেরানোর ব্যবস্থা শুরু হয়েছে। তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হচ্ছে মেচেদায়। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, বুধবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জেলায় ফিরে আসা প্রায় ৮০০ জনের মেচেদার পথসাথী কোয়রান্টিন সেন্টারে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়েছে। তবে কারও শরীরে করোনার উপসর্গ না থাকায় তাঁদের বাড়ি যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

মেচেদা ছাড়া, ভিন রাজ্য এবং জেলা থেকে সড়ক পথে আসা ১০৮ জনকে চণ্ডীপুর করোনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই সব বাসিন্দাদের প্রত্যেকের করোনা পরীক্ষার জন্য লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। যাঁদের ১৪ দিনের গৃহবাসের (হোম কোয়রান্টিন) থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়ে, তাঁদের উপরে বৃহস্পতিবার থেকেই স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মীরা নজরদারি শুরু করেছেন বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর। ওই সব এলাকায় কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের তরফেও নজরদারি চালানো হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Midnapore
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE