Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

আক্রান্ত বায়ুসেনা কর্মীর স্ত্রী

শুক্রবার যে ৫ জনের রিপোর্ট অমীমাংসিত এসেছিল তাঁদের মধ্যে ওই ৪ জন রয়েছেন।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২০ ০২:৫৯
Share: Save:

এবার করোনা আক্রান্ত হলেন কলাইকুন্ডার এক বায়ুসেনা কর্মীর প্রসূতি স্ত্রী।

শনিবার রাতে ওই মহিলা-সহ খড়্গপুরের ৭ জনের করোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। শনিবার রাতে খড়্গপুরের এসডিপিও সুকোমল দাস নিজেই সমাজমাধ্যমে এই খবর জানান। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ৭ জনের মধ্যে বায়ুসেনা কর্মীর স্ত্রী-সহ ৩ জনের রেল হাসপাতালে ও বাকি ৪ জনের খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহ হয়েছিল। শুক্রবার যে ৫ জনের রিপোর্ট অমীমাংসিত এসেছিল তাঁদের মধ্যে ওই ৪ জন রয়েছেন। বায়ুসেনা কর্মীর স্ত্রীকে কলকাতায় সেনা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁর স্বামী ও বছর তিনেকের শিশুকন্যারও সেনা হাসপাতালেই নমুনা পরীক্ষা হবে।

রেলের চিফ মেডিক্যাল সুপারিন্টেনডেন্ট এসএ নাজমি বলেন, “বায়ুসেনার সঙ্গে আমাদের চিকিৎসা সংক্রান্ত একটি চুক্তি রয়েছে। সেই অনুযায়ী ওই প্রসূতি ভর্তি হয়েছিলেন। প্রসবের আগে তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল।’’ এছাড়াও শহরের সাউথ ডেভলপমেন্ট এলাকার আরপিএফ ব্যারাকের এক রেলরক্ষী ও কুমোরপাড়া এলাকার এক অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, “নতুন করে সংক্রমিত এলাকা নিয়ম মেনে গণ্ডিবদ্ধ করা হয়েছে। যাঁরা আক্রান্তদের সরাসরি সংস্পর্শে এসেছিলেন তাঁদের চিহ্নিত করে নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থা হচ্ছে।”

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ভবানীপুরের এক রাজমিস্ত্রি-সহ দু’জন আছেন। দিন কয়েক আগেও ওই এলাকায় ৪ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। নতুন আক্রান্তদের তালিকায় ২০ নম্বর ওয়ার্ডের ওল্ড সেটলমেন্টের এক মহিলা ও তাঁর মেয়েও আছেন। তাঁরা দিনকয়েক আগে উত্তরপ্রদেশের কানপুরের একটি বিয়েবাড়ি থেকে ফিরেছিলেন। তারপর তাঁদের নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল। ২০ নম্বর ওয়ার্ডটি হল শহরের পুর-প্রশাসক তথা বিধায়ক প্রদীপ সরকারের নিজের ওয়ার্ড। প্রদীপ বলেন, “শহরে বিক্ষিপ্তভাবে করোনা ছড়াচ্ছে। প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর পরিস্থিতির দিকে নজরে রেখেছে। তবে সাধারণ মানুষেরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন।”

তবে খড়্গপুর শহরের অসচেতনতার ছবিটা অবশ্য রবিবারও বদলায়নি। আশিস রায় নামে ভবানীপুরের এক বাসিন্দার ক্ষোভ, “এখনও অনেকে মাস্ক ছাড়া ঘুরছেন। পানের দোকানে একটি গ্লাস থেকেই সকলে চুন তুলে নিচ্ছেন। এরকম চললে ভয়ঙ্কর দিন দেখতেই হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Covid-19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE