—ফাইল চিত্র।
যে দাড়িভিট হাইস্কুলকে গন্ডগোলকে কেন্দ্র করে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা। সেই স্কুল শনিবারও তালা বন্ধ। স্কুলের ভিতরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে সমস্ত নথিই। কবে খুলবে স্কুল, কবেই বা হবে পঠনপাঠন— তা নিয়ে উদ্বেগে অভিভাবক থেকে ছাত্রছাত্রী সকলেই। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ কুণ্ডুকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে দীর্ঘ নীরবতা ভেঙে তিনি বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে আমি খুবই অসুস্থ। স্কুল সম্পর্কে কোনও মন্তব্যই করব না।’’
স্কুল চত্বর ফাঁকা। স্কুল তো দূরের কথা ভয়ে-আতঙ্কে মাঠের দিকেও যাচ্ছে না কেউ। স্কুলের ভিতরের সমস্ত কিছুই লন্ডভন্ড অবস্থায় রয়েছে। অফিস রুমের আলমারি থেকে সমস্ত চেয়ার টেবিলই ভাঙা। প্রয়োজনীয় নথি স্কুলের বারান্দা, স্কুলের সামনে ফাঁকা জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। কম্পিউটারও পুড়ে গিয়েছে।
আতঙ্ক এতটাই যে এই স্কুল লাগোয়া প্রাইমারি স্কুল খুললেও সেখানে ছাত্রছাত্রীরা কেউ আসছে না। স্কুলের শিক্ষকেরা বলেন, ‘‘সে দিন গন্ডগোল শুরু হওয়ার পর অনেক কষ্ট করেই বাড়িতে ফিরেছিল তারা।’’ ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিভাস চৌধুরী বলেন, ‘‘অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেছি। সোমবার থেকে ছাত্রদের পাঠানোর কথা।’’
এখনও স্কুল চালু না হওয়ায় চিন্তায় পড়েছেন দাড়িভিট হাইস্কুলের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের বাড়ির লোক। তাঁদের বক্তব্য, সামনেই মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা। এখন যে পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে, তার দায় কি স্কুল নেবে? স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র নয়ন মণ্ডল বলে, ‘‘জানি না কবে স্কুল খুলবে!’’
প্রশাসনিক স্তরে বৈঠকের মাধ্যমে স্কুল খোলার চেষ্টা হচ্ছে, জানান মন্ত্রী গোলাম রব্বানি ও বিধায়ক কানাইয়ালাল অগ্রবাল। এ দিন দাড়িভিটে যান প্রাক্তন মন্ত্রী আব্দুল করিম চৌধুরী। তিনি ঘটনার সিবিআই বা বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন। সিআইডি অফিসার-কর্মীরা অবশ্য এ দিনই ইসলামপুর থানায় পৌঁছন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy