Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

সম্পাদক সমীপেষু: অবশেষে সুবুদ্ধি

সিপিএমের ২২তম পার্টি কংগ্রেস থেকে স্পষ্ট বার্তা এল যে, প্রয়োজনে রাজ্যভিত্তিক পরিস্থিতিতে কংগ্রেস পার্টির সঙ্গে সমঝোতা হবে, তবে রাজনৈতিক জোট হবে না। যাঁরা এই সিদ্ধান্তে সবচেয়ে খুশি হতেন তাঁরা আজ হয় শারীরিক কারণে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছেন, না-হয় বিতাড়িত অথবা মৃত।

শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৮ ০০:০০
Share: Save:

• অবশেষে কিছুটা হলেও সুবুদ্ধির উদয় হল। সিপিএমের ২২তম পার্টি কংগ্রেস থেকে স্পষ্ট বার্তা এল যে, প্রয়োজনে রাজ্যভিত্তিক পরিস্থিতিতে কংগ্রেস পার্টির সঙ্গে সমঝোতা হবে, তবে রাজনৈতিক জোট হবে না। যাঁরা এই সিদ্ধান্তে সবচেয়ে খুশি হতেন তাঁরা আজ হয় শারীরিক কারণে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছেন, না-হয় বিতাড়িত অথবা মৃত। সবচেয়ে আগে যাঁর নাম মনে পড়ছে, তিনি হলেন সিপিএমের চার বারের সাংসদ সৈফুদ্দিন চৌধুরী, যাঁকে গত শতকের নব্বই দশকের মাঝামাঝি দল থেকে টিকিট না দিয়ে বহিষ্কার করা হয়েছিল। কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল, তিনি নাকি প্রো-কংগ্রেস। যে সময় সিপিএম ধীরে ধীরে শ্রমিক-কৃষকদের পাশ থেকে সরে আসছিল, সে সময় তিনি দলে এর তীব্র প্রতিবাদ করছিলেন, আর প্রতিবাদ ছিল পার্টিতে গণতন্ত্র নেই বলে। আর এক জন হলেন পার্টির রিসার্চ উইং-এর প্রসেনজিৎ বসু, তাঁকে বহিষ্কারের কারণ ছিল কংগ্রেসের প্রতিনিধি হিসেবে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী প্রণব মুখোপাধ্যায়কে সমর্থন না করার প্রস্তাব দেওয়া। দুটো বহিষ্কারের কারণ সম্পূর্ণ বিপরীত। এর কী ব্যাখ্যা হতে পারে? পার্টির দিশাহীনতার অব্যর্থ উদাহরণ। আজ বেঙ্গল লাইনের জয়-জয়কার। পার্টির সদস্যরা লাফাচ্ছেন গণতন্ত্রের জয় বলে। আর আজ সৈফুদ্দিন নেই, বুদ্ধবাবু আর গৌতমবাবু অশক্ত শরীরের জন্য নেই, দেশের গণতন্ত্র রক্ষা করতে চাওয়ার জন্য পার্টি থেকে বহিষ্কৃত সোমনাথবাবুও নেই।

ঠিক যখন মনে হচ্ছিল ইরফান হাবিবদের মতো বামপন্থী তাত্ত্বিক শিক্ষাবিদরা আজ বড় একা, ঠিক তখনই সীতারাম ইয়েচুরির দ্বিতীয় বার পার্টির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ফিরে আসাটা ভীষণ তাৎপর্যপূর্ণ। সীতারামের বাগ্মিতা, দক্ষতা, দৃঢ়তা, সততা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। এ বারে ওঁকে রাজ্যসভায় না পাঠানো আরও একটা ভুল। প্রকাশ কারাটদের আরও আগে সরিয়ে দেওয়া উচিত ছিল। তা হলে ভুলের সংখ্যা হয়তো কিছু কমত। তবে ব্যর্থতাও আছে, সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে অত্যন্ত সফল ভাবে বিশাল কৃষকসভার পদযাত্রার নেতৃত্ব দেওয়া অশোক ধাওয়ালেকে পলিটব্যুরোতে স্থান দিতে না পারা। এত দিন পরে এত বড় সাফল্যের পুরস্কার অশোকের অবশ্যই প্রাপ্য ছিল। এতে অন্তত সৎ উঠতি নেতারা অনুপ্রেরণা পেতেন।

সোমনাথ মুখোপাধ্যায়, কলকাতা-৫৭

পাকা রাস্তা চাই

• পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর ২নং ব্লকের বসন্তপুর থেকে মুকসুদপুর পর্যন্ত পাকা/পিচ রাস্তা নেই। এলাকাবাসী ও পথচারীরা প্রতি দিন নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এই রাস্তা দিয়ে প্রত্যেক দিন ১৫টি গ্রামের ৭-৮ হাজার পথচারী-সহ ছাত্রছাত্রী যাতায়াত করে থাকেন।

সিদ্ধার্থ মিশ্র, রামনগর, পশ্চিম মেদিনীপুর

রাস্তা খারাপ

• কৈখালী থেকে রাজারহাট (৯১ নং বাস রুট) রাস্তাটির অবস্থা শোচনীয়। এই রাস্তা ঘিরে অনেক আবাসন গড়ে উঠেছে। তাই এই রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অথচ দুর্ঘটনা এখানে এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা।

নির্মাণ গঙ্গোপাধ্যায়, কলকাতা-১৩৬

দূরপাল্লা

• বাবুঘাটে দূরপাল্লার বাসস্ট্যান্ড রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। কয়েক বছর ধরে শুনে আসছি, অন্যত্র স্থানান্তরিত করার ব্যবস্থা হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত হয়নি। ওখান থেকে রাজ্যের নানা জায়গায় যাওয়ার জন্য অথবা অন্যান্য রাজ্যে যাওয়ার বাস চলাচল করে থাকে। বাসগুলি যখন বাঁক নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর সময় রাস্তার অনেকটা জায়গা জুড়ে ঘোরে, পুরো রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। যানজট হয়।

অভিজিৎ দাস, বালি, হাওড়া

রাস্তা আটক

• বাঙুর অ্যাভিনিউ সংলগ্ন যশোর রোড দীর্ঘদিন যাবৎ নাগেরবাজার-ডানকুনি রুটের একটি প্রাইভেট বাসের স্ট্যান্ড হয়ে উঠেছে। বাঙুর থেকে আরও দু’টি রুটের প্রাইভেট বাস ছাড়ে। তাদের নিজস্ব স্ট্যান্ড থাকলেও, এদের তা না থাকায়, এরা যশোর রোডের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাকেই এদের স্ট্যান্ড করে তুলেছে। রাস্তার দু’দিকেই অসংখ্য বাস দাঁড় করানো থাকে সারা দিন। ডানকুনি ফেরত বাসগুলি বাঙুর পৌঁছে যশোর রোডের উপরই চিনা মন্দির স্টপেজে ‘ইউ’-টার্ন নেয়। ওই সময়ে ব্যস্ত রাস্তার দুই লেনেই গাড়ির লাইন পড়ে যায়।

অভিজিৎ বসাক, কলকাতা-৭৪

নতুন বাস

• বিধাননগরের করুণাময়ী বাসস্ট্যান্ড থেকে বাঁকুড়া পর্যন্ত নিয়মিত ছ’টি বাস যাতায়াত করে। বাসগুলি জিটি রোড দিয়ে বর্ধমান, পানাগড় ও দুর্গাপুর হয়ে বাঁকুড়ার পথ ধরে। সপ্তাহের মাঝের দিনগুলিতে এই রুটে অতটা চাপ না থাকলেও, সপ্তাহান্তে এই বাসগুলির টিকিট দুষ্প্রাপ্য হয়ে ওঠে। কারণ কলকাতায় কর্মরত অনেক মানুষ সপ্তাহান্তে বাড়ি যান এবং সপ্তাহের শুরুতে ফিরে আসেন। হাওড়া গিয়ে বাস ধরার চেয়ে অফিস-ফেরত তাঁদের কাছে বাস ধরাই সহজ বিকল্প। উপরন্তু দুর্গাপুর ও পানাগড়ের যাত্রীরাও এই বাসগুলির টিকিট কাটতে থাকেন এবং বাঁকুড়ার যাত্রীরা ভয়ানক অসুবিধার মধ্যে পড়েন। আমার অনুরোধ, শুক্রবার বিকাল এবং শনিবার সকালে একটি করে সরাসরি বাঁকুড়া অভিমুখী বাস শুরু করা হোক। যেগুলি বর্ধমান বা পানাগড় কোথাও না দাঁড়িয়ে দুর্গাপুরের মুচিপাড়া থেকে বাঁ দিকে বেঁকে সোজা বাঁকুড়া পৌঁছবে। এতে বাঁকুড়ার যাত্রীদের প্রায় এক ঘণ্টার অধিক সময়ের সাশ্রয় ঘটবে। একই ভাবে, রবিবার বিকালে এবং সোমবার ভোরে একটি করে বাস সরাসরি বাঁকুড়া থেকে দুর্গাপুরের চক্কর না কেটে কলকাতা অভিমুখে যাত্রা করুক। দুর্গাপুর-পানাগড়ের অগণিত বাসের ভিড়ে বাঁকুড়ার বাসগুলিকে যদি এইটুকু সুবিধা দেওয়া হয়, দুর্গাপুরের বাসিন্দাদের কোনও অসুবিধা হবে না, কিন্তু বাঁকুড়ার মানুষরা খুবই উপকৃত হবেন।

সৈকত রায়, বাঁকুড়া শহর

রেলগেট

• ২৫সি সাগরদিঘি রেল স্টেশন সংলগ্ন পুরনো রেলগেট গত ২০১৬ জানুয়ারি মাসে বন্ধ করে প্রায় ২৫০ মিটার দূরত্বে ২৫সি (এ) নতুন রেলগেট তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে মানুষকে সামান্য রাস্তার পরিবর্তে অনেকটা বেশি পথ অতিক্রম করতে হচ্ছে। ওই রেলগেটের রাস্তাটিই সাগরদিঘি বাজারের উত্তর-দক্ষিণ বাজার যুক্ত করত। এ অবস্থায় উত্তরবাজারে ক্রেতার অভাবে ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এই নতুন রাস্তায় কোনও আলোও দেওয়া হয়নি। ফলে সন্ধ্যায় ছাত্রছাত্রী ও বিশেষত মহিলাদের অন্ধকারে যাতায়াতে যথেষ্ট অসুবিধা হচ্ছে। রেল কর্তৃপক্ষ পুরনো রেলগেট মানুষের হাঁটাপথে যাতায়াতের জন্য খুলে দিলে সুবিধে হয়।

পরিতোষ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাগরদিঘি নাগরিক কমিটি

স্কুলের গেটে

• হাওড়া লিলুয়া ডন বস্‌কো স্কুলের গেটের একেবারে সামনে একটি বেআইনি অটো স্ট্যান্ড আছে দীর্ঘ দিন ধরে। স্কুলের সময় সমস্যায় পড়তে হয়, এবং ট্র্যাফিক জ্যাম লেগেই থাকে। আমরা অভিভাবকেরা যখন ছাত্রদের স্কুলে পৌঁছে দিতে যাই, ছোট ছোট ছেলেরা তাড়াহুড়ো করে ঢুকতে যায়। তখন ওই অটো-চালকেরা সুযোগ তো করে দেয়ই না, উল্টে গাড়িগুলোকে এগোয়-পিছোয়, এবং অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে সকলের সামনে। বার বার স্কুল কর্তৃপক্ষ ও হাওড়া কর্পোরেশনকে জানানো সত্ত্বেও গত দু’বছরে কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি।

তাপস কুমার দত্ত, বি গার্ডেন, হাওড়া

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১।

ই-মেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE