Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

দিল্লি ডায়েরি

অত বড় নেতা মন্ত্রী, তিনি কি আর তাঁর মেয়ের বিয়েতে আসবেন? কিন্তু মেয়ের বিয়ের দিন দেখা গেল, বরযাত্রী পৌঁছনোরও আগে নুরজাহানের বাড়িতে সিসোদিয়া গিয়ে হাজির।

প্রেমাংশু চৌধুরী, অগ্নি রায়
শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০১৯ ০০:০৩
Share: Save:

কর্মীর মেয়ের বিয়েতে শুভেচ্ছার হাজিরা

দিল্লি সরকারের সচিবালয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই সাফাইকর্মী হিসেবে কাজ করেন নুরজাহান। উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার দফতর সাফসুতরো রাখা তাঁর প্রধান দায়িত্ব। মেয়ের বিয়েতে কিছুটা শখ করেই উপমুখ্যমন্ত্রীকে কার্ড দিয়ে নিমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছিলেন। বোধ হয় ভুলেও গিয়েছিলেন তার পর। অত বড় নেতা মন্ত্রী, তিনি কি আর তাঁর মেয়ের বিয়েতে আসবেন? কিন্তু মেয়ের বিয়ের দিন দেখা গেল, বরযাত্রী পৌঁছনোরও আগে নুরজাহানের বাড়িতে সিসোদিয়া গিয়ে হাজির। সবাই অবাক। মণীশ পাত্রীকে শুভেচ্ছা জানালেন। বিয়ের আসর থেকে বিদায় নেওয়ার আগে মিষ্টিমুখও করলেন।

প্রতিষ্ঠা

পুনরাবির্ভাব। দেশের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাইয়ের মূর্তি প্রতিষ্ঠিত হল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে। অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে নতুন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে যোগ দিয়েছেন জি কিষাণ রেড্ডি। মন্ত্রী হয়েই তিনি সর্দার পটেলের মূর্তি বসিয়েছেন তাঁর ঘরে। গুজরাতে সর্দার বল্লভভাই পটেলের আকাশছোঁয়া ‘স্ট্যাচু অব ইউনিটি’-র ধাঁচেই তৈরি এই মূর্তিও। হায়দরাবাদের বিজেপি নেতা কিষাণের যুক্তি, নিজামদের থেকে হায়দরাবাদের স্বাধীনতা পাওয়া গিয়েছিল পটেলের জন্যই। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কড়া নিরাপত্তা বলে কথা, নর্থ ব্লকে ঢুকতে পটেলের মূর্তিকেও এক্স-রে মেশিনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে!

মাস্টারমশাই

সৌগত রায় অধ্যাপক। রাজনৈতিক সত্তা আড়াল করতে পারে না তাঁর শিক্ষক সত্তাকে। এ বারে পশ্চিমবঙ্গ থেকে এক ঝাঁক নতুন সাংসদের ভিড় সেন্ট্রাল হল-এ। অনভিজ্ঞ সকলেই, কেউ কেউ দিশেহারা এখানকার এত সব নিয়মকানুনে। দলমতের পার্থক্যের কথা না ভেবেই সৌগতবাবু সদা হাজির মুশকিল আসান হিসাবে। দলের নতুনদের তো বোঝাচ্ছেনই, পাশাপাশি বিজেপির নতুন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কেও দেখিয়ে দিয়েছেন— কী ভাবে প্রশ্নোত্তর পর্বে নিজের প্রশ্ন লিখে জমা দিতে হয়, জ়িরো আওয়ারে নোটিস দেওয়ার জন্যই বা কী ভাবে লিখে দিতে হয় স্পিকারের টেবিলে। উপকৃত লকেট ধন্যবাদও জানিয়েছেন সৌগতবাবুকে।

ছোটা হামাম

মুঘল আমলের শেষ কয়েক বছরে মুঘলদের সাম্রাজ্য কার্যত লাল কেল্লার গণ্ডির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। আসল ক্ষমতা তখন পুরোটাই ব্রিটিশদের হাতে। ক্ষমতা না থাকুক, মুঘল সম্রাট বলে কথা। তুরস্কের স্নানঘরের আদলে তৈরি হামামে স্নান করতেন মির্জা জাহাঙ্গির বাহাদুর। দ্বিতীয় আকবরের পুত্র তিনি, থাকতেন হামামের পাশেই আসাদ বুর্জে। লাল কেল্লার সেই ‘ছোটা হামাম’ এত দিন আগাছায় ঢাকা পড়েছিল। আর্কিয়োলজিকাল সার্ভে এ বার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সংস্কার হবে লাল কেল্লার ছোটা হামামের। লাহৌরি ইটের খিলানে দশটি তেলের প্রদীপ আলোয় ভরে তুলত লাল বেলেপাথরে তৈরি স্নানঘর। ভাঙাচোরা সেই খিলান সারানো হবে।

দাদাগিরি

বড়া পাও, পাও ভাজি, ভেলপুরি, সেভপুরি, মিসাল পাও, সাবুদানার বড়া— মহারাষ্ট্রের নানান রকম খাবারের আয়োজন। পাও ভাজি মুখে পুরে জানালায় চোখ রাখলে একটু দূরেই চোখে পড়ে সংসদের মাথা। তার পিছনে রাইসিনা হিল-এর নর্থ ব্লক। নিতিন গডকড়ী খাদ্যরসিক বলে পরিচিত। খেতে ভালবাসেন, খাওয়াতেও। তাই পরিবহণ মন্ত্রকের চত্বরে স্বয়ংক্রিয় পার্কিংয়ের ছাদে তাঁর উদ্যোগে তৈরি হয়েছে রুফটপ কাফে। দক্ষিণ ও উত্তর ভারতের খাবারের সম্ভারও মিলছে, কিন্তু নাগপুরের নেতা নিতিনের তৈরি রুফটপ কাফেতে মহারাষ্ট্রের খাবারেরই দাদাগিরি।

ভুয়ো খবর

প্রথম বার সাংসদ হিসেবে শপথ নিলেন মিমি ও নুসরত। ৪ নং গেট দিয়ে বাইরে বেরোতেই তারকাদের ছবি তুলতে আলোকচিত্রীদের ভিড়, বিস্তর হুড়োহুড়িতে অবস্থা এমনই দাঁড়াল যে দু’জনে কোনও মতে রেহাই পেলেন। সমস্যা হল পরে, যখন রটে গেল যে দুই সাংসদ নাকি স্পিকারের কাছে হেনস্থার অভিযোগ করেছেন। ক্ষুব্ধ আলোকচিত্রীরাও বললেন, তাঁরা মিমি-নুসরতকে বয়কট করবেন। মিমি পরে টুইট করেছেন, স্পিকারের কাছে নালিশের প্রশ্নই নেই, খবরটা ভুয়ো!

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE