বিজেপির প্রয়াত নেতা প্রমোদ মহাজনের কন্যা পুনম মুম্বইয়ের সাংসদ হিসাবে পরিচিত মুখ। এক সময় বিজেপির যুব মোর্চার নেত্রী হিসাবে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন। তার পর সুনীল দত্তের কন্যা প্রিয়া দত্তকে হারিয়ে সাংসদ হয়েছেন। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা নিয়ে আলোচনায় তিনি পশুদের উপরে যৌন অত্যাচারে কড়া শাস্তির পক্ষে জোর সওয়াল করেছেন। পুনমের মতে, কড়া শাস্তি হলেই পশুদের উপর অত্যাচার বন্ধ করা যাবে। প্রমোদকন্যার কথা শুনে অনেকেই তাঁকে ‘নতুন যুগের মেনকা গান্ধী’ বলে ডাকতে শুরু করেছেন। কারণ এত দিন মেনকাই এ সব নিয়ে সরব হতেন। পুনম কি মেনকাকে দেখে অনুপ্রাণিত? প্রশ্ন শুনে পুনম মহাজন বলছেন, অনেকেই জানেন না যে, তিনি অনেক দিন যাবৎ মহারাষ্ট্র পশু কল্যাণ পর্ষদের সভানেত্রী। পুনমের আরও একটি পরিচয় অনেকের অজানা— তিনি ভারতীয় বাস্কেটবল ফেডারেশনেরও সভানেত্রী।
পশুপ্রেমী: সংসদ ভবন চত্বরে একটি পথপশুর সঙ্গে বিজেপি সাংসদ পুনম মহাজন।
নিরুদ্বেগ নানা পাটোলে
মহারাষ্ট্রে বিরোধী শিবিরের আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা করতে দিল্লি এসেছিলেন রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নানা পাটোলে। দিল্লির কস্তুরবা গান্ধী মার্গে মহারাষ্ট্র সদন থেকে আকবর রোডে কংগ্রেসের সদর দফতরের দূরত্ব বেশি নয়। তাই আর গাড়ি ভাড়া না করে উব্র থেকে ট্যাক্সি ডেকে নিয়েছিলেন নানা। ২৪ আকবর রোডের সামনে নামতেই সাংবাদিকরা ঘিরে ধরলেন। কারণ শিবসেনার নেতা সঞ্জয় রাউত মহারাষ্ট্রে অর্ধেক আসনে লড়ার দাবি জানিয়ে মুম্বইয়ের বাজার গরম করে দিয়েছেন। দিল্লি থেকে নানার পাল্টা গরম গরম মন্তব্য দরকার। এরই মধ্যে নানা আবিষ্কার করলেন, খুচরো নেই। অগত্যা এক মরাঠি সাংবাদিকের কাছে টাকা ধার করতে হল। টাকা মিটিয়ে নানা হাসতে হাসতে বলছিলেন, তিনি সঞ্জয় রাউতকে বিশেষ গুরুত্ব দেন না। সংবাদমাধ্যমেরও গুরুত্ব দেওয়ার দরকার নেই। এরই মধ্যে অন্য বিপদ। নানা আবিষ্কার করলেন, পকেটে চশমাও নেই। ট্যাক্সিতে ফেলে এসেছেন। ফোনাফুনি করে চশমা উদ্ধার হল। নানা দিল্লি ছাড়ার আগে মরাঠি সাংবাদিকের ধার শোধ করে গিয়েছেন। জানিয়ে গিয়েছেন, মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস, এনসিপি আর শিবসেনা আসন সমঝোতা করে লড়বে। কোথাও সমস্যা নেই। সঞ্জয় রাউত খবরে থাকতে বিভিন্ন কথা বলতেই থাকেন। ও সবে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
শাহনওয়াজের ভক্তি
বিজেপির সংখ্যালঘু মুখ এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শাহনওয়াজ হোসেন দিল্লির ময়দানে রাম মন্দিরের মহিমা প্রচারে নামলেন। সেপ্টেম্বরে অ্যাঞ্জিয়োপ্লাস্টির পর এই প্রথম রাজধানী এসেছেন তিনি। কিছু সাংবাদিক এবং বিজেপি নেতাকে বাড়িতে ডেকে তাঁদের নতুন রাম মন্দিরের ‘রেপ্লিকা’ দিয়েছেন। ১০০টি রেপ্লিকা তৈরি করে রেখেছিলেন তিনি ‘ইতিবাচক বার্তা’ প্রচারের জন্য। বিরিয়ানি আর কাবাবে স্বচ্ছন্দ শাহনওয়াজ সে দিন তাঁর বাড়ির পদ রেখেছিলেন সবই নিরামিষ। সংবাদমাধ্যমের সামনে সমালোচনা করেছেন এআইএমআইএম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়েইসির। শাহনওয়াজের অভিযোগ, মন্দির নির্মাণ সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে নিয়েছে মুসলমান সম্প্রদায়। কিন্তু তাঁদের উস্কানি দিচ্ছেন ওয়েইসি।
আশি আসছে
সংসদের শীতকালীন অধিবেশন৷ অধিবেশন কক্ষে ঢোকার আগে হঠাৎ সনিয়া গান্ধীর মুখোমুখি হয়ে পড়লেন তৃণমূলের সাংসদ শতাব্দী রায়৷ সনিয়া গান্ধীর হেয়ারস্টাইল প্রসঙ্গে শতাব্দী বললেন, “আপনাকে ঠিক আশির দশকের সনিয়া গান্ধী লাগছে৷” মুচকি হেসে সনিয়া বললেন, “আমিও আশিতে পা দেব৷” সনিয়া ভুল ভেবেছেন ভেবে তড়িঘড়ি তাঁকে শুধরে দিতে চাইলেন শতাব্দী। বললেন, “না না, আপনি আশির দশকে যে ভাবে চুল রাখতেন আমি সেই কথা বলেছি৷” সনিয়া বললেন, “আমি আপনার কথা বুঝতে পেরেছি, কিন্তু এটাও ঠিক যে খুব শিগগিরই আমি আশির কোঠায় পা দেব৷”
অমলিন: শীতের সংসদে সনিয়া গান্ধী।
বাজরায় বেজার
বিজেপি দফতরে দেওয়ালি মিলন উৎসব। উপস্থিত নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, জে পি নড্ডা৷ এসেছেন ছোট-বড় নেতারাও৷ রয়েছে ঢালাও খাবার। কিন্তু অধিকাংশ পদই বাজরা দিয়ে তৈরি৷ আসলে ২০২৩-কে বাজরা বর্ষ হিসাবে ঘোষণা করেছিল ভারত সরকার৷ খাবারের লাইনে দাঁড়িয়ে এক বিজেপি নেতার সহকর্মীকে প্রশ্ন, “আচ্ছা, নতুন বছর এলে এই বাজরা নিয়ে মাতামাতি শেষ হবে তো? দল বা সরকার— সব অনুষ্ঠানেই বাজরা খাওয়া বেশ কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে৷”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)