Advertisement
২১ মে ২০২৪
Sougata Roy

দিল্লি ডায়েরি: দাদা তথাগতর নাম করে সৌগতকে খোঁচা

লোকসভায় দুই ভাইয়ের বৈপরীত্যকে তুলে রাজনৈতিক খোঁচা দিলেন ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে।

ভাষণ: নিজের বক্তব্য পেশ করার ফাঁকে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়

ভাষণ: নিজের বক্তব্য পেশ করার ফাঁকে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়

শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৭:০৬
Share: Save:

লোকসভায় দুই ভাইয়ের বৈপরীত্যকে তুলে রাজনৈতিক খোঁচা দিলেন ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। বুধবার লোকসভায় তৃণমূল নেতা সৌগত রায় বক্তৃতায় বাধা পেয়ে নিশিকান্ত দুবেকে কিছুটা ধমকের সুরে বলেন, “আপনি পাক্কা আরএসএস! নেতাজিকে নিয়ে কথা বলার কোনও অধিকার আপনার নেই।” তখনকার মতো চুপ করে যান নিশিকান্ত। কিন্তু সৌগতর বক্তৃতা শেষ হতেই তিনি দাঁড়িয়ে পড়ে বললেন, “মাননীয় সৌগত রায় আমার নাম করেছেন। গর্বের সঙ্গে বলছি, আমি আরএসএস-এর স্বয়ংসেবক। উনি তো আমার মুখ বন্ধ করে দিলেন। কিন্তু উনি যদি ওঁর দাদা তথাগত রায়ের বই পড়তেন তা হলে দেখতেন, কত গবেষণা করে তিনি লিখেছেন বাবাসাহেব আম্বেডকরের সঙ্গে কংগ্রেস কী না করেছে! শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় কী ভাবে দল গড়েছিলেন। ধর্মনিরপেক্ষতার প্রসঙ্গে তো নজরুল ইসলামের নাম নেন। শ্যামাপ্রসাদ অসুস্থ নজরুলকে দু’বছর মধুপুরে রাখেন।” শেষে নিশিকান্ত দুবের সৌগতবাবুকে খোঁচা, “যাঁর বড় ভাইয়ের প্রতি সম্মান নেই, তিনি আমাকে, আরএসএস-কে কী সম্মান দেবেন!”

জিতল রাজনীতি

রাজনীতিবিদ ও অর্থনীতিবিদ মিলে এক সঙ্গে বই লিখলে, বিষয় কী হওয়া উচিত? রাজনীতি না অর্থনীতি? মোদী সরকারের মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব ও অর্থনীতিবিদ ইলা পট্টনায়ক এক সঙ্গে বই লিখেছেন। জিতেছে রাজনীতিই। কারণ বইয়ের বিষয়, বিশ্বের বৃহত্তম দল হিসাবে বিজেপির উত্থান। ভূপেন্দ্র পরিবেশ, শ্রম মন্ত্রকের মন্ত্রী হওয়ার আগে দীর্ঘ দিন সংগঠনে গুরুদায়িত্ব সামলেছেন। গুজরাতের মতো রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত নেতা। সংসদীয় কমিটিতে স্পর্শকাতর বিষয়ে আলোচনাতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ইলা মোদী সরকারের গোড়ায় অর্থ মন্ত্রকে প্রিন্সিপাল আর্থিক উপদেষ্টার কাজ করেছিলেন। তাঁরা আবার এক সঙ্গে বই লিখলে কি অর্থনীতির বিষয়ে লেখা হবে?

মহারাষ্ট্রের মোদী

বছর চারেক আগে বিজেপি থেকে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন নানা পাটোলে। এখন মহারাষ্ট্রের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। প্রায়ই বিতর্কিত মন্তব্য করে সংবাদের শিরোনামে চলে আসতে অভ্যস্ত। তাঁকে নিয়ে কংগ্রেসকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। কংগ্রেসের সঙ্গে শিবসেনা, এনসিপি-র জোটেও মাঝে মাঝে গোল বাধিয়ে ফেলেন। এ-হেন নানা পাটোলে সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের এক জনসভায় মন্তব্য করেছেন, “আমি মোদীকে পেটাতে পারি। শিক্ষা দিয়ে দিতে পারি।” বিজেপি নিন্দায় নেমে পড়েছে। প্রশ্ন তুলেছে, নানা কি নরেন্দ্র মোদীকে মারার কথা বলছেন? এটাই কংগ্রেসের মনোভাব? নানা বলেছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কথা বলছিলেন না। উমেশ ঘরডে নামক স্থানীয় এক গুন্ডার কথা বলছিলেন। তাকেই শাস্তি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তা স্থানীয় গুন্ডাকে নানা হঠাৎ ‘মোদী’ বলে সম্বোধন করতে গেলেন কেন? উমেশ নিজেই সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছেন, তিনি তাঁর স্ত্রীকে ছেড়ে চলে এসেছেন বলে গ্রামের লোকেরা তাঁর নাম দিয়েছেন ‘মোদী’।

ভোটের খাওয়া

স্বামী স্ত্রী দু’জনেই রাজনীতিতে। সুখবীর সিংহ বাদল ও হরসিমরত কউর। এ বারের পঞ্জাবের ভোট শিরোমণি অকালি দলের বড় পরীক্ষা। কৃষি আইনের বিরোধিতা করে বিজেপির সঙ্গে জোট ভেঙে অকালি বেরিয়ে এসেছে। এ বার মায়াবতীর বিএসপির সঙ্গে জোট করেছে অকালি। প্রবীণ গোষ্ঠীপতি প্রকাশ সিংহ বাদল ৯৫ বছরেও ভোটে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর পুত্র ও পুত্রবধূ সুখবীর ও হরসিমরত জান লড়িয়ে দিচ্ছেন। বাড়িতে বেশি সময় কাটাতে পারছেন না বলে প্রচারে বেরিয়েই এক সঙ্গে খাওয়াদাওয়া সেরে নিচ্ছেন। অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরের কাছে বিখ্যাত কুলবন্ত সিংহ কুলচেওয়ালের রেস্তরাঁয় দু’জনকে খাওয়াদাওয়া সেরে নিতে দেখা যাচ্ছে।

আহার: ভোজনরত সুখবীর-হরসিমরত

আহার: ভোজনরত সুখবীর-হরসিমরত

নির্মলার জলপান

ঘন ঘন জল খেতেন প্রণব মুখোপাধ্যায়, গলা ভিজিয়ে নিতে। পি চিদম্বরম জল ছাড়াই টানতেন দীর্ঘ ক্ষণ। অরুণ জেটলি অসুস্থতার কারণে শেষ দিকে বসেই পড়তেন বাজেট। তবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীদের মধ্যে বেশ কিছু নজির গড়েছেন নির্মলা সীতারামন, এ ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রমী তিনি। বাজেট পড়ার সময় দু’টি গ্লাস ছিল তাঁর সামনে। বদলে বদলে চুমুক দিলেন। পরে তাঁকে চেপে ধরলেন বন্ধু-সাংসদরা। কী পান করছিলেন ম্যাডাম! নির্মলা জানালেন, একটি গ্লাসে ছিল ডাবের জল, অন্যটিতে ওআরএস। নব্বই মিনিটের বক্তৃতায় দু’টিই শেষ করেছেন অর্থমন্ত্রী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Sougata Roy TMC BJP
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE