Advertisement
E-Paper

সম্পাদক সমীপেষু

২০০৬-এর, শন লিভি ও ক্রিস কলম্বাস পরিচালিত ‘নাইট অ্যাট দ্য মিউজিয়াম’। এক জাদুঘরের রাতের প্রহরীরূপী অভিনেতা বেন স্টেলার চাকরিতে যোগ দিয়ে প্রথম দিনেই জানতে পারেন, জাদুঘরের সব পুতুল রাতে জ্যান্ত হয়ে ওঠে!

শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০১৮ ০০:০০

বড়দিনের বড় ছবি

‘‘শীতের ছুটিতে ‘সিনে’মামার বাড়িতে’’ শীর্ষক (আনন্দ প্লাস, ৮-১) লেখাটিতে বড়দিনের হিট হলিউড ছবির তালিকা দেখে, দুটি ছবির নাম যোগ করতে ইচ্ছে হল। একটি— ব্রায়ান লেভান্ট পরিচালিত ‘জিঙ্গল অল দ্য ওয়ে’। ‘টার্মিনেটর’ আর্নল্ড শোয়ার্ৎজেনেগার অভিনীত এই ছবি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯৬ সালে, ঠিক বড়দিনের মাসখানেক আগে। গল্প: চাকরির জন্য শিশুপুত্রকে সময় দিতে পারতেন না ব্যস্ত ‘আর্নি’। বাড়িতে তাই নিয়ে তুমুল অশান্তি। এ দিকে, আর্নির স্ত্রীর প্রতি পাশের বাড়ির পড়শির খুবই আগ্রহ! এই পরিস্থিতিতে আর্নির ছেলে জানাল, বড়দিনে তার উপহার চাই-ই চাই প্রিয় সুপারহিরো টার্বোম্যানের পুতুল! কিন্তু, কাজের চাপে আর্নি ভুলেই মেরে দিলেন সে কথা! পরে সেই পুতুলের খোঁজে গিয়ে, শেষে ক্রিসমাস কার্নিভালে ঘটনাচক্রে আর্নি-কেই সাজতে হয়েছিল ছেলের প্রিয় টার্বোম্যান! তার পর মধুরেণ সমাপয়েৎ! ছবিটিতে বড়দিনের মেজাজটা ষোলো আনাই ছিল মজুত, আর অ্যাকশন হিরো আর্নল্ড-এর কমিক টাইমিংও ছিল জবরদস্ত!

দ্বিতীয়টি, ২০০৬-এর, শন লিভি ও ক্রিস কলম্বাস পরিচালিত ‘নাইট অ্যাট দ্য মিউজিয়াম’। এক জাদুঘরের রাতের প্রহরীরূপী অভিনেতা বেন স্টেলার চাকরিতে যোগ দিয়ে প্রথম দিনেই জানতে পারেন, জাদুঘরের সব পুতুল রাতে জ্যান্ত হয়ে ওঠে! প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টের মোমের মূর্তির ভূমিকায় রবিন উইলিয়ামসের আশ্চর্য উপস্থিতি কিংবা ‘মেরি পপিন্স’ ছবির নায়ক ডিক ভ্যান ডাইক বা কিংবদন্তি মিকি রুনি— ছবিতে এঁদের কাণ্ডকারখানায় দর্শকরা হাসতে হাসতে লুটিয়ে পড়েছিলেন! এ ছবি সফল হওয়ায় পরে এই সিরিজের আরও দুটি ভাগও দর্শকরা উপহার পেয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, ‘নাইট অ্যাট দ্য মিউজিয়াম’ এবং ‘জিঙ্গল অল দ্য ওয়ে’ দুটি ছবিরই সহ-প্রযোজক ছিলেন ‘হোম অ্যালোন’ ছবির পরিচালক ক্রিস কলম্বাস।

শঙ্খশুভ্র চট্টোপাধ্যায়

কলকাতা-৩১

বীর বাঙালি

‘ডিস্টিংগুইশ্‌ড ফ্লায়িং ক্রস’ সম্মানে ভূষিত ইন্দ্রলাল রায়ের প্রসঙ্গ (লন্ডন ডায়েরি, ‘জীবনে অসমসাহসী...’, ৭-১) পড়ে, কিছু যোগ করি। ইন্দ্রলাল রায়ের জন্ম কলকাতায়, ২ ডিসেম্বর ১৮৯৮। পি এল রায় ও ললিতা রায়ের দ্বিতীয় সন্তান তিনি। তাঁর পিতামহ ছিলেন ব্যারিস্টার এবং ডিরেক্টর অব পাবলিক প্রসিকিউশন। মাতামহ ছিলেন স্বনামধন্য চিকিৎসক। ভাই পরেশলাল রায় ভারতীয় বক্সিং-এর জনক নামে পরিচিত। ১৯০১-এ রায় পরিবার লন্ডনে চলে যান।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর সময় ইন্দ্রলাল হামারস্মিথের সেন্ট পলস স্কুলের ছাত্র ছিলেন। উনি ছাত্রাবস্থায় ‘ট্রেঞ্চ মর্টার’-এর ডিজাইন তৈরি করে, এর সুবিধাগুলি নোট করে, যুদ্ধের বিভাগীয় দফতরে পাঠান। অভিনব ডিজাইনের জন্য অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তিও লাভ করেন। যুদ্ধবিমানের চালক হওয়ার স্বপ্ন ছিল অল্প বয়স থেকেই। রয়্যাল এয়ার ফোর্সে তাঁর প্রথম বারের আবেদন বাতিল হয়ে যায়, দুর্বল দৃষ্টিশক্তির জন্য। কিন্তু সহজে হার মানেননি। নিজের মোটর সাইকেল বেচে, সমকালীন ব্রিটেনের বিখ্যাত চক্ষুবিশেষজ্ঞের থেকে ঠিক দৃষ্টিশক্তি বিষয়ে শংসাপত্র নিয়ে, ৫ জুলাই ১৯১৭ যোগ দেন রয়্যাল ফ্লায়িং কর্পস-এর ৫৬ নম্বর স্কোয়াড্রনে।

১৯১৭-র ডিসেম্বরে তিনি ফ্রান্সের পক্ষে ও জার্মানির বিপক্ষে এক সামরিক বিমান অভিযানে অংশ নেন। তাঁর বিমান জার্মান বিমান কর্তৃক ভূপাতিত হয়। অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকেন ইন্দ্রলাল। একটি ব্রিটিশ সেনাদল তাঁকে উদ্ধার করে ফ্রান্সের ব্রিটিশ সামরিক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। সামরিক হাসপাতালের ডাক্তাররা তাঁকে মৃত ঘোষণা করে মর্গে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু আশ্চর্য ভাবে তিনি জ্ঞান ফিরে পান। সুস্থ হওয়ার পর, জুন ১৯১৮-য় আবার ৪০ নম্বর স্কোয়াড্রনে যোগ দেন। পরবর্তী এক মাসের মধ্যেই প্রথম ‘ফ্লায়িং এস’। তাঁর সমাধিতে ইংরেজিতে লেখা: মহাযোদ্ধার সমাধি, শ্রদ্ধা দেখাও, স্পর্শ কোরো না।

নন্দগোপাল পাত্র

সটিলাপুর, পূর্ব মেদিনীপুর

ব্যোমকেশ

‘এভারগ্রিন ব্যোমকেশ’ নিবন্ধে (আনন্দ প্লাস, ৫-১) ব্যোমকেশরূপী অভিনেতাদের তালিকায়, মঞ্জু দে পরিচালিত ‘শজারুর কাঁটা’-য় সতীন্দ্র ভট্টাচার্য-র নাম দেখলাম। কিন্তু ওই ছবিতে ব্যোমকেশ বক্সীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন শ্যামল ঘোষাল।

হীরালাল শীল

কলকাতা-১২

‘উজ্জলা’

কলকাতার কড়চায় (‘টিকে অাছে শুধু নাম’, ২৫-১২) পড়লাম, ‘উজ্জ্বলা’ সিনেমা হল সম্পর্কে। ওটা হবে ‘উজ্জলা’। গত শতকের আশির দশকে এক সংবাদপত্রে প্রুফ-রিডার হিসেবে যোগ দিয়েছিলাম। সিনেমার বিজ্ঞাপনের কপিতে ‘উজ্জলা’ নজরে আসতেই, এক অভিজ্ঞ সহকর্মীকে দেখালাম। উনি জানালেন, যে হেতু সিনেমা হলের নাম কর্তৃপক্ষ রেখেছেন ‘উজ্জলা’, ওটাই ছাপতে হবে। পাণ্ডিত্য দেখাবার সহজ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হলাম, ব-ফলা দিতে পারলাম না! তাই অন্য কেউ দিয়েছে দেখে, জানাতেই হল!

অনুপম শেঠ

কলকাতা-২

ভুল ধরতে

শিশিরকুমার নিয়োগী তাঁর চিঠিতে (‘নিজের কাঁধে’, ৭-১) জানিয়েছেন কী ভাবে ‘দেশ’ পত্রিকায় ‘আরিস্টটলের লণ্ঠন’ ধারাবাহিক রচনার তথ্যগত ভুল তিনি সাগরময় ঘোষকে ধরিয়ে দেন। তবে ধারাবাহিকটির লেখকের নাম তিনি জানিয়েছেন, শিবতোষ ভট্টাচার্য। কিন্তু ওই লেখকের নাম শিবতোষ মুখোপাধ্যায়, যিনি ছিলেন প্রাণিবিদ্যার প্রথিতযশা অধ্যাপক।

শ্যামলকুমার চক্রবর্তী

কলকাতা-৪০

বাতিঘেরা

কলকাতার কড়চায় গ্রেট ট্রিগনমেট্রিক্যাল সার্ভে-র দ্বিশতবার্ষিকী উদযাপনের খবর (১৮-১২) জানলাম। এ প্রসঙ্গে জানাই, শুধু কলকাতার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলেই নয়, পশ্চিমবঙ্গের বহু জায়গায় হয়তো এখনও ‘টিকে থাকা’ এ ধরনের টাওয়ারের সন্ধান মিলবে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এই রকম দুটি টাওয়ার এখনও টিকে আছে।

১) দাঁতন-১ ব্লকের দাঁতন শহরে বিদ্যাধর দিঘির দক্ষিণ পাড়ে, নিমগাছের বেষ্টনীর মধ্যে, অর্ধভগ্ন।

২) মোহনপুর ব্লকের সাউটিয়া গ্রামে, স্থানীয়দের চেষ্টায় কিছুটা সংরক্ষিত অবস্থায়।

স্থানীয় ভাবে এই টাওয়ারগুলি ‘বাতিঘেরা’ নামে পরিচিত। এগুলির আসল তাৎপর্য সাধারণ মানুষের কাছে অজ্ঞাত, কিন্তু এগুলির মাথায় আলো জ্বালিয়ে যে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন স্থানের দূরত্ব নির্ণয় করা হত, সেই স্মৃতি জনমানসে রয়ে গেছে। তাই ‘বাতিঘর’ থেকে ‘বাতিঘেরা’।

দাঁতন থেকে প্রায় ৩০ কিমি পশ্চিমে, অধুনা ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম থানার সস্তিনী গ্রামের কাছে একটি জঙ্গল ‘বাতিঘেরার জঙ্গল’ নামে পরিচিত। জঙ্গলের এক জায়গায় বহু ভগ্ন-অর্ধভগ্ন ইটের সন্ধান পাওয়া যায়। হয়তো এখানেও একটি টাওয়ার ছিল।

তরুণ সিংহ মহাপাত্র

দাঁতন, পশ্চিম মেদিনীপুর

ভ্রম সংশোধন

‘রাষ্ট্র এবং পুতুলকাকিমা’ (পৃ ৪, ১১/১) শীর্ষক লেখাটিতে একটি তথ্যগত ভুল থেকে গিয়েছে। কাকিমাকে বিদেশি সন্দেহে পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়েছিল ফরেনার্স ট্রাইবুনালের মামলায়, এনআরসি নবীকরণের প্রক্রিয়ায় নয়। এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমরা দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।

ই-মেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy