Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

সম্পাদক সমীপেষু: চিনের কাছে শিখি

আমেরিকা, ইউরোপ ও ভারতে স্যানিটাইজ়ার, মাস্ক ইত্যাদির জন্য হাহাকার। সেখানে চিন সমস্ত সরকারি কারখানায় সব কাজ থামিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের উৎপাদন করেছে।

শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২০ ০০:০০
Share: Save:

ঢিলেমি

ক’দিন আগেই, কর্মসূত্রে বাড়ি থেকে বেরোতে হয়েছিল। অফিস যাওয়ার রাস্তায় দুটি বাজার পড়ে, দেখলাম সব বাজারে একই রকম ভিড়, কচুরি-চায়ের দোকানে ভিড়, মিষ্টির দোকান, সেলুন, পান-সিগারেটের দোকানের শাটার অর্ধেক নামানো, তার মধ্যেই বিকিকিনি চলছে। রাস্তায় যথেষ্ট সংখ্যক প্রাইভেট গাড়ি এবং মোটরবাইক চলছে, কোনও পুলিশকর্মীকে সেগুলিকে আটকাতে বা জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখলাম না।
এ ছাড়াও বিভিন্ন মিডিয়াতে দেখা যাচ্ছে যে শহরের বিভিন্ন ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল, বস্তি এলাকায়, যেখানে মূলত নিম্নবিত্ত মানুষের বসবাস, সেখানে তেমন কোনও কড়াকড়ি নেই। অথচ ওই সব এলাকায় সংক্রমণ দ্রুত ছড়াবার আশঙ্কা বেশি। এ ছাড়াও কিছু অনলাইন খাবার ডেলিভারি সংস্থা তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে । বুঝতে পারলাম না, এই মুহূর্তে চাল, ডাল, আটা, সব্জি, ডিম, মাছের থেকে নামী রেঁস্তোরার পিৎজা, চাইনিজ, মোগলাই খানা কী ভাবে বেশি প্রাধান্য পায়?
আরও একটি খবর পাওয়া গেল, মিষ্টির দোকান কিছু সময় খোলা থাকবে। এই সিদ্ধান্ত পুরোপরি অযৌক্তিক। এই চরম সঙ্কটে মিষ্টি খাওয়ার বিলাসিতা দেখানো কোনও ভাবেই কাম্য নয়।

দেবজিৎ ঘোষ
কলকাতা-৩৮

কড়া প্রস্তাব

কিছু অত্যন্ত ‘ডোন্ট কেয়ার’ মানুষের জন্য করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই কিছুতেই সর্বাঙ্গীণ ভাবে করা যাচ্ছে না। তারা বাড়ির বাইরে বেরোবেই, আটকানো যাবে না। হাজার প্রচার, পুলিশের অপমান, লাঠির বাড়ি— কোনও কিছুতেই টলানো যাবে না। তার মানে, তারা আদৌ সংক্রমণের পরোয়া করে না! আমার আবেদন, এই উদ্ধত মানুষজনকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে সমস্ত হাসপাতাল, কোয়রান্টিন সেন্টারে মানুষদের সেবায় লাগিয়ে দিন। এই মুহূর্তে এমন ডানপিটে মানুষজনের সেবা বড় প্রয়োজন।

পার্থ নন্দী
শেওড়াফুলি, হুগলি

একই খবর!

যে কোনও টিভি চ্যানেলের খবরে শুধু ভাইরাস। চব্বিশ ঘণ্টা শুধু— কী ভাবে হাত ধুতে হবে, কতখানি দূরত্ব রেখে কথা বলতে হবে। রেডিয়োতেও একমাত্র করোনার সংবাদ আর মাঝে মাঝে তিরিশের দশকের হিন্দি গান ছাড়া কিছু নেই। কোনও আত্মীয় বা বন্ধুকে ফোন করুন; তিরিশ সেকেন্ড ধরে আপনাকে শুনতেই হবে— এই ভাইরাস ছড়ানো বন্ধ করতে কী করতে হবে; তার পর ফোন বাজবে! এ সব যারা মানার, তারা এর মধ্যেই মেনেছে; অন্যদের ক্ষেত্রে এটা শুধুই ‘অরণ্যে রোদন’!
ক্ষীণাকৃতি খবরের কাগজ খুলুন— সেখানেও প্রথম পাতা থেকে খেলার পাতা আচ্ছন্ন হয়ে আছে ভাইরাসে। পৃথিবীর কোনও প্রান্তে অন্য কোনও ঘটনা কি ঘটছে না?
ভারতের ১৪০ কোটি শরীর এখন ঘরে বন্দি। মনগুলোকে বন্দিদশা থেকে মুক্তি দেওয়া যায় না?

দেবাশিস মিত্র
কলকাতা-৭০

খুলে বলুন

ডাক্তারের কাছে রোগের কথা খুলে বলতে হয় রোগীকে, নচেৎ গোড়ায় গলদে রোগীর ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। একই সঙ্গে আধুনিক রাষ্ট্র এবং সমাজের কাছে চিকিৎসককে রোগ ও রোগীর কথা খুলে বলতে হয়।
তবুও রোগের কথা খুলে বলতে ব্যক্তি, রাষ্ট্র, সমাজের বিভিন্ন স্তরে নানা কারণে অস্বস্তি। এই স্বচ্ছতার অভাব তৈরি করছে অসংখ্য জটিলতা। প্রশ্ন উঠেছে, ভারতের মতো জনবহুল দেশে এত কম আক্রান্ত করোনাভাইরাসে? কোথাও কোনও ভুল হয়ে যাচ্ছে না তো? অপূরণীয় ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ছে না তো?
সবাইকে রোগের কথা খুলে বলতেই হবে। ব্যক্তি যেমন রোগ লুকোতে পারেন, তেমনই রাষ্ট্র সরকারি পরিকাঠামোর দুর্বলতা, পরিসংখ্যান চেপে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে এক দিকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক পরিকল্পনার ক্ষতি হয়, অন্য দিকে চাপে পড়ে যায় চিকিৎসা জগৎ, সেই সঙ্গে সমাজসেবা ও পরিষেবার স্বেচ্ছাশ্রমের বিশাল জগৎ। রোগের কথা খুলে বলার প্রক্রিয়া যত দ্রুত ও সৎ ভাবে হবে, রোগমুক্তির উপায় তত দ্রুত বার হবে।

শুভ্রাংশু কুমার রায়
ফটকগোড়া, হুগলি

ভাল আছি

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার যে নিয়ম আমরা এখন ঠেকায় পড়ে মেনে চলছি, এটা সারা জীবন মেনে চলতে পারলে বহু রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। বিশেষ করে পেটের অসুখ, সর্দিকাশি এবং ফুসফুসের নানা সংক্রমণ থেকে অনেকটাই নিরাপদ দূরত্বে থাকা সম্ভব হবে। আমি নিজে এক জন সিওপিডি-র রোগী হয়ে এই লকডাউনে খুব ভাল আছি। বাতাসে ধূলিকণা ও অন্যান্য গ্যাস কম থাকায়, কোনও শ্বাসকষ্ট হচ্ছে না। ম্যাজিকের মতো সুস্থ বোধ করছি। ইনহেলার নেওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে না।

প্রগতি মাইতি
কলকাতা-১১৮

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা
সম্পাদক সমীপেষু,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১।
ইমেল: letters@abp.in
যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE