আইআইটি খড়্গপুরে দেখেছি, রাস্তার দু’পাশে পদযাত্রীদের রাস্তার পাশে সাইকেল-পথ আছে। আইআইটি-তে পড়াশোনা করা সবাই নিয়মিত সাইকেল ব্যবহার করে থাকেন হস্টেল থেকে কলেজ ও অন্যান্য কোথাও যাতায়াতের প্রয়োজনে, যে জন্যে দূষণ খুবই কম। নিয়মিত সাইক্লিং-এর জন্য দৈনিক ভাল এক্সারসাইজ় হয়ে যায়।
যদি কলকাতার বাইপাস সংলগ্ন রাস্তার দু’পাশে অন্তত চার ফুট চওড়া রাস্তা সাইকেল-পথ হিসেবে ব্যবহার করা যায়, সবাই এই সুবিধাগুলো উপভোগ করতে পারবেন:
১) বাসের ব্যবহার কিছুটা হলেও কমে যাবে বিশেষ করে কম দূরত্বের যাত্রীদের জন্য।
২) পরিবেশ অনেকটা দূষণমুক্ত হবে।
৩) কিছু লোকের নিয়মিত রোজগারের সংস্থান হবে, যদি তিন/চার কিলোমিটার অন্তর সাইকেল গ্যারাজ ও সাইকেল মেরামত করার ব্যবস্থা করা যায়।
৪) স্কুল/কলেজের ছাত্রছাত্রীরা ৪/৫ কিলোমিটার দূরত্বের রাস্তা সাইকেল চালিয়ে যেতে পারবেন অনায়াসে এবং শারীরিক উন্নতি হবে।
৫) ছোটরা অনেকেই সাইকেলে উৎসাহী হয়ে উঠবে এবং শরীর ও মন ভাল থাকবে।
প্রণব কান্তি রায়
কলকাতা-৮৪
বেহাল সেতু
বিষ্ণুপুর ও পাত্রসায়ের ব্লকের সংযোগস্থলে ভড়া খালের উপর কংক্রিটের সেতুর বেহাল অবস্থা। সেতুটির নীচ থেকে চাঙড় খসে পড়েছে। রেলিংগুলি থেকে প্লাস্টার খসে পড়ায় রড বেরিয়ে পড়েছে। দু’পাশের পিলারগুলি ক্ষয়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বাম আমলে বিষ্ণুপুর পঞ্চায়েত সমিতির সৌজন্যে ভড়া পঞ্চায়েতের সনাতনপুর মৌজায় ভড়া খালের উপর নির্মিত হয় এই কংক্রিটের সেতু। নাম ছিল বিদ্যাসাগর সেতু। পার্শ্ববর্তী সাহাপুর, জামশোলা, কামারবেড়া, বীরসিংহ এলাকার বাসিন্দাদের প্রতি দিন নানান কাজে সেতু পার হয়ে ভড়া বা বিষ্ণুপুর আসতে হয়। ওই সব গ্রামের প্রতিটি ছাত্রছাত্রীদের নিকটস্থ উচ্চবিদ্যালয় বা মহাবিদ্যালয় ভড়া গ্রামে অবস্থিত হওয়ায়, প্রতি দিন হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাঙা সেতু পারাপার করতে হচ্ছে। সেতুর উপর দিয়ে চলে গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার পিচরাস্তা, যা দিয়ে সহজেই বিষ্ণুপুর থেকে বর্ধমান যাওয়া যায়।
সত্যজিৎ রায়
ভড়া, বাঁকুড়া
মেশিন নষ্ট
2 উত্তর শহরতলির সোদপুর একটি অন্যতম ব্যস্ত স্টেশন। বছর দুয়েক আগে তিনটি ‘অটোমেটিক ভেন্ডিং মেশিন’ রেল কর্তৃপক্ষের তরফে বসানো হয়েছিল এবং যাত্রীরা ব্যবহারও করছিলেন। বছরখানেক আগে ট্রেন-বিক্ষোভের কারণে উত্তেজিত জনতা সমস্ত স্টেশনে ভাঙচুর করে। সেই উত্তেজনার ফল আজও নিত্যযাত্রীরা ভোগ করে চলেছেন। যদি ওই মেশিনগুলি সারিয়ে তোলা যায় অথবা নতুন মেশিন বসানো হয়, তা হলে ব্যস্ত সময়ে অসংখ্য নিত্যযাত্রী দীর্ঘ ক্ষণ টিকিট কাটার লাইনে দাঁড়ানো থেকে অব্যাহতি পান।
শান্তনু গুহ
শুকচর, খড়দহ
পুরো পেনশন
2 আমি এক জন সাধারণ সম্প্রদায়ভুক্ত প্রাথমিক শিক্ষক। ৪০ বছরের শেষের দিকে একটি ইন্টারভিউ কল পাই। যখন আমি কাজে নিযুক্ত হই, তখন আমার বয়স ৪২। সরকারি নিয়মানুসারে, ২০ বছর না হলে ফুল পেনশন পাওয়া যায় না। তাই আমি পুরো পেনশন পাওয়া থেকে বঞ্চিত হব। বামফ্রন্ট সরকার শিক্ষকদের অবসরের বয়স ৬৫ থেকে কমিয়ে ৬০ বছর করে দেওয়ার ফলে, আমরা তার বেড়াজালে পড়ে ফুল পেনশন থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। তাই আবেদন, যাঁরা ৪০ বছর বয়সের পর নিযুক্ত হয়েছেন, তাঁরা যাতে ন্যূনতম ২০ বছর চাকরি করতে পারেন কিংবা ফুল পেনশনের আয়ত্তে আসতে পারেন, ব্যবস্থা হোক।
সোমনাথ ভট্টাচার্য
শক্তিপুর, মুর্শিদাবাদ
বঞ্চিত পাড়া
2 বৈদ্যবাটী-শেওড়াফুলি পুরসভার ২৩টি ওয়ার্ডেই, এমনকি ৮ নম্বর ওয়ার্ডের অপরাপর এলাকাগুলি পুর উন্নয়নের ছোঁয়া ইতিমধ্যে পেলেও (যেমন কাঁচা বা ইটের রাস্তা পাকা হওয়া, বাতিস্তম্ভে আলো লাগানো, পয়ঃপ্রণালী ইত্যাদি) শেওড়াফুলি জিটি রোডের সন্নিকটস্থ অমরাবতী পাড়াটি কোনও অজানা কারণে পুর কর্তৃপক্ষের সুনজর থেকে একদম বঞ্চিত। পাড়াটির পাশেই প্রায় দেড় বিঘার মতো জায়গা জুড়ে বিশাল একটি পুকুরের জলের অবিরাম ধাক্কায় পাড়ার একমাত্র চলার রাস্তাটির কিছু অংশ বর্তমানে একেবারে ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। এখানকার পরিবেশকেও নরক করে তুলেছে জিটি রোড সংলগ্ন নালাটি, যা বহিরাগতদের ফেলা ময়লা আবর্জনায় প্রায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। নালাটিতে অবিরাম চলছে পথচারীদের মলমূত্রত্যাগ।
তাপস সাহা
শেওড়াফুলি, হুগলি
মশার অত্যাচার
2 প্রত্যেক বছর কলকাতা ও আশেপাশে ডেঙ্গির প্রকোপ চরমে উঠলে তখন স্বাস্থ্য দফতর তথা রাজ্য সরকার নড়েচড়ে বসে। তখন দরজায় কড়া নেড়ে জল পরীক্ষা করা, দীর্ঘ দিন তালাবন্ধ বাড়ির তালা ভেঙে জমা জল খোঁজা আরম্ভ হয়। কিছু্ই লাভ হয় না। কালের চক্রে কিছু
মানুষ মারা যাওয়ার পর ঋতু পরিবর্তনে ডেঙ্গি বা অন্যান্য মশা আপনাআপনি কমে যায়। আবার পরের বছরের জন্যে অপেক্ষা। এই ট্রাডিশন সমানে চলেছে।
আমি নিউ টাউনে শ্রাচী এলিমেন্টের একটি ছোট্ট ফ্ল্যাটের পাঁচ তলায় বাস করি। সামনে একটা দীর্ঘ কাঁচা ড্রেন কাটা হয়ে আজ প্রায় ৪-৫ বছর ধরে জমা জল পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। আবর্জনা ও জমা জলে কোটি কোটি মশার লার্ভা দিনরাত খেলা করছে। দিনের বেলায়ও মশার উপদ্রবে দরজা-জানালা খুলতে পারি না। সচেতনতার সঙ্গী না পাওয়ায়, একাই NKDA-র অফিসে অনুরোধ করি। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি নিয়ে মাননীয় অফিসাররা পরিদর্শন করে গিয়ে যথাশীঘ্র ব্যবস্থা করার অঙ্গীকার করে চলে গেলেন। দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও কোনও খবর পর্যন্ত না পাওয়ায় হতাশ হয়ে মশার কামড় খাচ্ছি এবং এইটাই ভাগ্যলিপি বলে মেনে নিয়েছি। কার্তিক চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
নিউ টাউন, কলকাতা
জলের কথা
2 ‘জল বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে কলকাতা’ (১৪-২)— এ কথা জলের মতোই পরিষ্কার। কারণ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের প্রত্যেকের সচেতনতার অভাব। নিয়ম করে পরিমাণ মতো জল আমরা অনেকেই ব্যবহার করি না। বিশুদ্ধ পান করার জলই অন্যান্য কাজে ব্যবহার করতে আমরা প্রতিনিয়ত বাধ্য হই। রাস্তাঘাটে প্রায়ই দেখা যায়, কলবিহীন পাইপ থেকে জল পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে। আর একটা জিনিস অবাক করে, পলতা থেকে টালা পর্যন্ত যে জলের পাইপলাইন গিয়েছে, এই দীর্ঘ যাত্রাপথে বিটি রোডের বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় মোটা পাইপ দিয়ে ২৪ ঘণ্টাই অঝরে বিশুদ্ধ পানীয় জল বেরিয়ে নষ্ট হচ্ছে। এমনকি পাড়ার মধ্যেও এই জিনিস দেখা যায়। খোঁজ নিয়ে জেনেছি, এটা নাকি জলের চাপ নিয়ন্ত্রণ করার জন্যে দরকার! তা না হলে পাইপ ফেটে যাবে! খুব ভাল কথা। কিন্তু এই জলটাকে কি আবার অন্য ভাবে কাজে লাগানো যায় না? যেমন, যেখানে যেখানে এই রকম আউটলেট আছে সেখানে ভূগর্ভস্থ জলাধার নির্মাণ করে সেই জলকে তো ধরে রাখা যায়। তার পর সেই জলকে ট্যাঙ্কে তুলে সাপ্লাই করা বা অন্য যে কোন কাজে লাগানো যেতেই পারে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ভেবে দেখতে অনুরোধ করছি।
গৌতম মুখোপাধ্যায়
কলকাতা-১১৭
চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা
সম্পাদক সমীপেষু,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১।
ইমেল: letters@abp.in
যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy