নিহত জওয়ানের শোকার্ত পরিবার। ছবি: এএফপি।
নিরন্তর আক্রান্ত হতে হতে এবার যদি ভারত ফুঁসে ওঠে, অপ্রীতিকর কোনও দিশায় যদি ভারত পা ফেলে, খুব অন্যায় কি হবে? ভয়াবহ কাণ্ড ঘটাল পাকিস্তান। বিনা প্ররোচনায় হামলা হল ভারতীয় বাহিনীর ওপর। অতর্কিত, অনর্থক এবং অক্ষম-সুলভ হামলা হল। দুই ভারতীয় যোদ্ধার প্রাণ গেল। তারপর মৃতদেহের নিয়ে বর্বর উল্লাসে মাতল হামলাকারীরা। অঙ্গচ্ছেদ করে, ক্ষতবিক্ষত করে, বিকৃত করা হল মৃতদেহ দু’টিকে, আদ্যন্ত কাপুরুষোচিত ভঙ্গিতে এক অক্ষম আক্রোশকে চরিতার্থ করার চেষ্টা হল যেন। এই অভাবনীয় বর্বরতার পর ভারতের আচরণ যে পাকিস্তানের প্রতি প্রীতিপ্রদ হবে না, সে নিয়ে আর সংশয় থাকার কথা নয়। অতএব উপমহাদেশের আকাশ জুড়ে এ বার ঝড়ের মেঘ ঘনিয়ে ওঠার আশঙ্কা।
শান্তি প্রক্রিয়াকে আরও একবার ভয়ঙ্কর ধাক্কা দিল পাকিস্তান। যে সে ভঙ্গিতে নয়, অত্যন্ত বর্বর ভঙ্গিতে এই ধাক্কা দেওয়া হল। ভারত-পাকিস্তান আলোচনার শকট অতএব আবার কক্ষচ্যুত এবং এর সম্পূর্ণ দায় পাকিস্তানের ওপর বর্তাচ্ছে। কূটনীতির ভাষা যদি থেমে যায়, পাহাড় যদি আবার অশান্ত হয় আগ্নেয়াস্ত্রের ঘোষিত গর্জনে, তা হলে দায়টা পাকিস্তানেরই হবে।
অস্বীকারের পথে হাঁটছে ইসলামাবাদ। ভারতীয় বাহিনীর দুই কর্মীর ভয়ঙ্কর মৃত্যুর দায় পাকিস্তানের নয়, বলছে ইসলামাবাদ। ভারত-পাক উত্তেজনার ফাঁসে দশকের পর দশক আটকে থাকা পুঞ্চে তা হলে অন্য কোন শক্তি ভারতীয় বাহিনীর ওপর এমন জঘন্য হামলা চালাল? ইসলামাবাদের কাছে এই প্রশ্নের কোনও উত্তর কিন্তু নেই।
উত্তর ইসলামাবাদের কাছে থাক বা না থাক, এই জঘন্য বর্বরতার উত্তর ভারতের কাছে রয়েছে, বলছে ভারতীয় সেনা। উত্তর দেওয়াও হবে, জানিয়েছে সেনার নর্দার্ন কম্যান্ড। এই সম্ভাব্য সামরিক জবাব অসামরিক প্রক্রিয়াটাকে ব্যাহত করবে সন্দেহ নেই। কিন্তু আবার বলছি, তেমন কিছু হলে দায় নিতে হবে পাকিস্তানকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy