পেট্রল-ডিজেলের ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে বাস অথবা ট্যাক্সি সংগঠনগুলোর অত্যন্ত সঙ্গত দাবি ছিল ভাড়া বাড়ানোর। দাবির যৌক্তিকতা তর্কাতীত। সরকার ভাড়া বাড়িয়েছে। এ বার মুদ্রার অন্য পিঠের দিকে তাকানোর পালা। সাধারণ নাগরিকের বিশেষত ট্যাক্সি প্রসঙ্গে যে ক্ষোভগুলো রয়েছে, সেগুলোও তর্কাতীত। সে দিকে এ বার নজর দেওয়া দরকার।
যাত্রী প্রত্যাখ্যান, লাগাম ছাড়া অতিরিক্ত টাকার দাবি অথবা দুর্বিপাকে পড়া যাত্রীর প্রতি যথাসম্ভব অন্যায় আচরণ— ট্যাক্সি নিয়ে মানুষের ক্ষোভ কিন্তু বিস্তর। বস্তুত, এই ক্ষোভের জায়গা ধরেই ক্রমাগত বেড়েছে অ্যাপ-ক্যাবের চাহিদা। আম নাগরিক শত কষ্ট সহ্য করেও ন্যায্য বর্ধিত ভাড়া দিতে প্রস্তুত থাকেন। বিনিময়ে প্রত্যাশা করেন ন্যূনতম কিছু স্বাচ্ছন্দ এবং প্রশাসন-নিয়ন্ত্রিত কিছু শৃঙ্খলা। হলুদ ট্যাক্সির মর্জি যাঁরা জানেন তাঁরা সাক্ষী, শৃঙ্খলা অথবা স্বাচ্ছন্দের প্রত্যাশা নিতান্ত কল্পনাবিলাস হয়ে দাঁড়ায়।
আরও পড়ুন: