ব্যবসা, বাণিজ্য কিংবা শিল্প ক্ষেত্রে ‘লিডারশিপ’ শব্দের প্রচলন রয়েছে। মূলত যাঁরা ব্যবসার কাজ পরিচালনা করেন, ব্যবসার কৌশল এবং নীতি স্থির করেন, তাঁদের নেতা বা লিডার বলা হয়ে থাকে। প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে ব্যবসা, শিল্প ক্ষেত্রেও পরিবর্তন এসেছে যথেষ্ট। বিশেষত, অতিমারি পরবর্তী সময়ে স্টার্টআপ, অন্ত্রেপ্রেনিয়রশিপ-এর প্রতি মানুষে ঝোঁক বেড়ে যাওয়ায় এর সংজ্ঞাও বদলেছে। কৃত্রিম মেধা সংযোজনের ফলে আগামী দিনে এটি পেশা হয়ে ওঠার সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পেয়েছে।
যে কোনও বিষয়ে চটজলদি সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সব ধরনের মানুষের সঙ্গে কথোপকথন, সমস্যার সমাধান করতে পারা— এই সমস্ত কিছুই লিডারশিপ-এর মূল গুণ। পড়াশোনার জন্য স্নাতক স্তরে বিজ়নেস ম্যানেজমেন্ট কিংবা বিজ়নেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এর বিষয় বেছে নেওয়া যেতে পারে। আবার বাণিজ্য বিভাগের বিষয়েও ডিগ্রি অর্জন করতে পারেন। তবে, বিদেশের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয়ক কোর্স করানো হলেও, এ দেশে ‘লিডারশিপ’ সংক্রান্ত ডিগ্রি কোর্স নেই। স্নাতকোত্তর স্তরে কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ওই বিষয়টি পড়িয়ে থাকে।
আরও পড়ুন:
বর্তমানে স্নাতক স্তরে ব্যবসা বাণিজ্য বিষয়ক ডিগ্রি কোর্সের সঙ্গে কৃত্রিম মেধা স্পেশ্যালাইজ়েশন করার সুযোগ পাওয়া যায়। তাই যন্ত্রমেধার খুঁটিনাটি জেনে নিতে পারলে, তা পরবর্তীতে লিডারশিপ-এ প্রয়োগ করতে অসুবিধা হবে না। এ ক্ষেত্রে বলে দেওয়া দরকার, সাধারণত স্নাতক স্তরে ব্যবসার ব্যবস্থাপনার নিয়ে পড়াশোনার পরই ইন্টার্নশিপ বা বহুজাতিক সংস্থায় প্লেসমেন্ট-এর সুযোগ থাকে। এ ক্ষেত্রে কাজ শেখার সঙ্গেই সার্টিফিকেট কোর্স কিংবা অনলাইনে উচ্চশিক্ষাও গ্রহণ করতে পারবেন।
তবে, যাঁরা প্রথাগত শিক্ষা সম্পূর্ণ করতে চান, তাঁরা বিজ়নেস অ্যানালিটিক্স, ডেটা সায়েন্স নিয়ে স্নাতকোত্তর স্তরের কোর্স করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ‘এগ্জ়িকিউটিভ এমবিএ ইন এআই লিডারশিপ’ শীর্ষক কোর্সটিও বেছে নিতে পারবেন পড়ুয়ারা। দেশের সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি উল্লিখিত কোর্সগুলি করিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে খরচ ৩ লক্ষ থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
কৃত্রিম মেধাকে ব্যবহার করে ওই বিষয়ে পঠনপাঠনের ধরন কিছুটা বদলেছে। এ ক্ষেত্রে ওই প্রযুক্তির প্রয়োগ ব্যবসার লক্ষ্যমাত্রা পূরণের নীল-নকশা, ছোট ছোট প্রকল্পে কাজের নীতি নির্ধারণ, তথ্যের বিশ্লেষণ-এর মতো কাজে করার কৌশল শেখানো হয়ে থাকে।
লিডারশিপ প্রোগ্রামের পড়াশোনা সম্পূর্ণ করার পর বিভিন্ন সংস্থায় অ্যানালিস্ট, প্রোডাক্ট ম্যানেজার, পরামর্শদাতা হিসাবে যোগদানের সুযোগ থাকে। পরবর্তীতে ম্যানেজার কিংবা চিফ এগ্জ়িকিউটিভ অফিসার (সিইও) হিসাবেও পদোন্নতি হতে পারে।