দেশের বিভিন্ন আইআইটি-তে ইতিমধ্যেই চালু এই ব্যবস্থা। এ বার একই নিয়ম কার্যকর করতে চলেছে রাজ্যের আইআইটি খড়্গপুরও। প্রতিষ্ঠানে নানা বিষয় নিয়ে বিটেক কোর্সে ভর্তির জন্য পড়ুয়াদের অলিমপ্লিয়াড-এর মতো প্রতিযোগিতা বা খেলাধুলোয় ব্যতিক্রমী প্রতিভাকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
এত দিন পর্যন্ত বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির নানা বিষয়ে শুধুমাত্র জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজ়ামিনেশন (জেইই) পরীক্ষার মতো যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষাকেই গুরুত্ব দেওয়া হত। কিন্তু সেই চেনা ছকের বাইরে বেরিয়ে পথ দেখিয়েছে দেশের আইআইটি কানপুর, আইআইটি মাদ্রাজ, আইআইটি বম্বে, আইআইটি গান্ধীনগর এবং আইআইটি ইনদওর-এর মতো প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানগুলির বিএস এবং বিটেক কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই পড়ুয়াদের জাতীয় এবং আন্তজার্তিক স্তরের অলিম্পিয়াড এবং খেলাধুলোয় কৃতিত্বকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
সম্প্রতি আইআইটি খড়্গপুরেও একই ব্যবস্থা চালু করা হবে বলে সেনেটে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ২০২৬ সাল থেকে কার্যকর হবে এই ব্যবস্থা। বিটেক-এর নানা কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রে জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজ়ামিনেশন (জেইই) অ্যাডভান্সড-এ প্রাপ্ত নম্বর ছাড়াও অলিম্পিয়াড এবং স্পোর্টস কোটাকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। ‘স্পোর্টস এক্সেলেন্স অ্যাডমিশন’ এবং ‘সায়েন্স অলিম্পিয়াড এক্সেলেন্স অ্যাডমিশন’— এই দু’টি ক্যাটাগরিতে পড়ুয়াদের ভর্তি নেওয়া হবে। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরের প্রতিযোগিতাগুলিতে যাঁরা কোনও র্যাঙ্ক দখল করেছেন বা মেডেল পেয়েছেন, তাঁদেরকেই এই ক্যাটাগরিগুলিতে পড়ুয়াদের ভর্তি নেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে আইআইটি খড়্গপুরের ডিরেক্টর সুমন চক্রবর্তী বলেন, “আমরা শুধুমাত্র শিক্ষার গণ্ডিতে মেধাকে মাপতে চাইছি না। পড়ুয়াদের খেলাধুলো, সাংস্কৃতিক দিক বা অন্য ক্ষেত্রের মেধাকেও সমান গুরুত্ব দিতে চাই। যাতে সমস্ত কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের সার্বিক ভাবে বিচার করা যায়, তাই এই ব্যবস্থা কার্যকর করার ভাবনা।”