Advertisement
E-Paper

ইউপিএসসিতে ব্যর্থ হয়েছেন? আপনাদের তো গর্বিত হওয়া উচিত! আইএএস আধিকারিকের বিশেষ বার্তা

সেরার সেরা হওয়ার লড়াইটা কঠিন। কিন্তু সেই লড়াই জেতাটা অসম্ভব নয়। তার জন্য শুধু নিজের উপর বিশ্বাসটা বজায় রাখতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ১২:১৯
Union Public Service Commission office Delhi.

ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (ইউপিএসসি) কার্যালয়, নয়া দিল্লি। ছবি: সংগৃহীত।

সদ্যই প্রকাশিত হয়েছে ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (ইউপিএসসি)-এর সিভিল সার্ভিস এগজ়ামিনেশনের ফলাফল। এই রাজ্য থেকে মোট ১৩ জন সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। একই ভাবে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কৃতীদের কাহিনি মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ছে। কিন্তু যাঁরা দিল্লির কার্যালয় থেকে ইন্টারভিউ দেওয়ার পরেও ম্যাজিক নম্বরটা ছুঁতে পারলেন না, তাঁরা যেন হঠাৎ ব্রাত্য হয়ে পড়লেন। তাঁদের সাহস যোগাতে কলম ধরলেন আইএএস অফিসার জিতিন যাদব।

তিনি তাঁর এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) একটি দীর্ঘ চিঠিতে নিজের ইউপিএসসি পরীক্ষার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন। ফলাফল প্রকাশের প্রতি ১৫ মিনিট অন্তর অন্তর ওয়েবসাইটে গিয়ে শেষ পর্যন্ত যখন নিজের নামটা তালিকায় দেখতে পাননি, সেই সময় তিনি বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তার পর কী হয়েছিল? তিনি কী হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন?

সেই সময় তাঁর ত্রাতা হয়েছিলেন তাঁরই এক বন্ধু, যিনি নিজেও ওই পরীক্ষাটি দিয়েছিলেন। সেই বন্ধু তাঁকে বোঝান, “নিজের ১০০ শতাংশ দেওয়ার পর যেটা হবে, সেটা ভালর জন্যই হবে।” এর পর আগে এগিয়ে যাওয়ার জন্য হতাশ হয়ে পড়ে থাকলে চলবে না। বরং আর পাঁচ জন সফল প্রার্থী, যাঁরা কোনও এক সময় ব্যর্থতার মুখে দেখেছিলেন, তাঁদের মতোই ঘুরে দাঁড়িয়ে ফের লড়াইয়ের ময়দানে নেমে পড়তে হবে। জিতিনও সেই মতোই নিজের ত্রুটি সংশোধন করে নতুন করে লড়াই শুরু করেছিলেন।

আইএএস আধিকারিকের মতে, সিভিল সার্ভিসের মতো পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে হলে, পরিবার কিংবা শুভাকাঙ্খী বন্ধুদের সমর্থন খুব বেশি প্রয়োজন হয়ে থাকে। তাঁদের সাহায্য ছাড়া এত বড় একটি পরীক্ষার বৈতরনী পেরোনো সম্ভব নয়।

কিন্তু তাই নিজেদের কৃতিত্বকে খাটো করে দেখলে হবে না। এই পরীক্ষার এতগুলি ধাপ যাঁরা পেরিয়ে এলেন, তাঁদের গর্বিত হওয়া উচিত। এটুকুও অনেকেই করার সুযোগ পান না। তাই আরও এক বার সেই সমস্ত ধাপ পেরিয়ে আসতে যাঁরা প্রস্তুতি নিতে চান, তাঁদেরকে নিজের অক্ষমতাগুলি চিহ্নিত করতে হবে। যদি খুব বেশি সমস্যা হয়, তাহলে কিছু সময়ের বিরতি নিয়ে ফের শুরু করতে হবে। শুধু হার মানলে চলবে না। লড়াইয়ে টিকে থাকতে হবে। তবেই জয় নিশ্চিত হবে। জিতিনের এ হেন বার্তায় নেট নাগরিকরা আপ্লুত।

প্রসঙ্গত, জিতিন যাদব নিজেই সরকারি আমলা হওয়ার যোগ্যতার পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য রাজ্য সরকারি প্রতিষ্ঠানে ক্লাস করিয়ে থাকেন। তিনি তাঁর এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) নিয়মিত ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের পরামর্শও দিয়ে থাকেন।

UPSC Aspirants ias officer X Handle
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy