সংগৃহীত চিত্র।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পর হস্টেল নিয়ে এ বার কড়া পদক্ষেপ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের। এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলগুলিতে বর্তমান আবাসিক ছাড়া প্রাক্তনীরা কেউ থাকতে পারবেন না। এমন কেউ থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় তার আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট প্রাক্তনীর ডিগ্রিও বাতিল করতে পারেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ১৬টি হস্টেল রয়েছে। তার মধ্যে উত্তর কলকাতার কারমাইকেল হস্টেলে সম্প্রতি র্যাগিংয়ের অভিযোগ সামনে আসে। হোস্টেলের আবাসিক নন, এমন পড়ুয়াদের নাম উঠে আসে এই ঘটনায়। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছে অভিযোগও দায়ের করা হয়। তার পরেই নড়েচড়ে বসেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
রেজিস্ট্রার দেবাশীষ দাস বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা অনেক দিন শেষ হয়ে গিয়েছে। অথচ এখনও বেশ কয়েক জন আবাসিক হিসেবে রয়ে গিয়েছে। এমন অভিযোগ কারমাইকেল হস্টেল থেকে আসে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী আমরা বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। যদি তারা নিজেরা হোস্টেল ছেড়ে না দেয়, আমরা প্রয়োজনে ডিগ্রি বাতিল করব।”
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি একটি র্যাগিং-এর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্রের অভিযোগের তির ছিল হস্টেলের এক প্রাক্তন ছাত্রের দিকে। বহু দিন আগে পড়াশোনা শেষ হয়ে গেলেও এখনও তিনি হস্টেলে থাকছেন বলে অভিযোগ। বিশেষ ভাবে সক্ষম ওই আবাসিক ছাত্রের দাবি, এক বার নয়, একাধিক বার ওই প্রাক্তন ছাত্র এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি এই বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করেন। এই হস্টেলে প্রায় ১০ থেকে ১২ জন প্রাক্তন ছাত্র এখনও আবাসিক হিসেবে রয়েছেন। ওই সমস্ত ছাত্রকে অবিলম্বে হস্টেল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে সময়ে এই ছাত্র হেনস্থার ঘটনা ঘটেছিল, তখন হস্টেলের সুপার বিশ্ববিদ্যালয়কে না জানিয়ে ছুটিতে ছিলেন। সে জন্য তাকে শোকজ করা হয়েছে।
সম্প্রতি রাজ্যের অন্যতম প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় যাদবপুরে একাধিক বার র্যাগিং বা ছাত্র হেনস্থার ঘটনা ঘটেছে। যা নিয়ে ডিগ্রি বাতিল না করলেও একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ছাত্র সুরক্ষার স্বার্থে প্রাক্তন পড়ুয়াদের হস্টেলে থাকার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত বলেন, “এই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলগুলিতে কোনও প্রাক্তন ছাত্র নেই। পড়াশোনা শেষ হওয়ার পর তারা যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে না থাকে, সেই বিষয়টিও আমরা সুনিশ্চিত করেছি। তার পরেও যদি কেউ থেকে থাকে, তা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মেনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy