তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস (২৮ অগস্ট)। ওই দিনই পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে অনড় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষার দিন পরীক্ষার্থীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য উচ্চশিক্ষা দফতরকে চিঠি দিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। চিঠিতে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার আবেদন জানানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে দেওয়া চিঠিতে অন্য পাঁচটা দিনের মতো ওই দিনও রাস্তায় যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে যানবাহন থাকে তার আবেদন জানানো হয়েছে। যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী কলকাতা ও তার সংলগ্ন কলেজগুলিতে পরীক্ষা দিতে যাবেন তাঁদের যাতে কোনও অসুবিধে না হয় সেই বিষয়টি রাজ্য সরকার যেন নিশ্চিত করে, সেই আর্জিও জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তা বলেন, ‘‘আমরা উচ্চশিক্ষা দফতরকে জানিয়েছি পূর্বনির্ধারিত দিনেই পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার। তাই পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে রাস্তাঘাট ও যানবাহনের ব্যবস্থা ঠিক রাখা সরকারের দায়িত্ব। তারা সে ভাবেই যেন ব্যবস্থা গ্রহণ করে যাতে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার হলে পৌঁছতে অসুবিধা না হয়।’’
আরও পড়ুন:
২৮ অগস্ট ওই দিন বিএ এলএলবি এবং বিকম চতুর্থ সেমিস্টারের পরীক্ষা রয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের। সোমবারের জরুরি সিন্ডিকেট বৈঠকে শেষে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধির আপত্তি উড়িয়ে পরীক্ষা সূচিতে রদবদলের সিদ্ধান্ত খারিজ করা হয় বিশ্ববিদ্যালয় তরফে।
উপাচার্য শান্তা দত্ত দে বলেন, ‘‘আমরা আগেই মৌখিক ভাবে জানিয়েছি বিরোধীদের ধর্মঘটে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার মতো রাজ্য সরকার এ বার রাজধর্ম বজায় রাখুক বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষার ক্ষেত্রেও। কোনও সংগঠনের অনুষ্ঠানের জন্য পরীক্ষা পিছলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্মসংস্কৃতি থাকবে না।’’
সরকারের তরফ থেকে ওই দিন পরীক্ষার নিয়ে যেমন আপত্তি তোলা হয়েছে, সেখানে সিন্ডিকেট বৈঠকে উপস্থিত আচার্য তথা রাজ্যপালের প্রতিনিধির মাধব মোহন অবশ্য রাজ্য সরকার পরীক্ষা নিয়ে কী অসুবিধার কথা বলছে তা দেখা উচিত বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁদের নেওয়া সিদ্ধান্তে অনড়।