Advertisement
E-Paper

ওবিসি সংরক্ষণে জটিলতা! নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে আইনি পরামর্শ নিচ্ছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়

কর্তৃপক্ষ এখনও নিশ্চিত নন আগের বিজ্ঞপ্তি বজায় রেখে নিয়োগ হবে, না কি নতুন করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে। কারণ ওবিসি সংরক্ষণ মামলা এখনও বিচারাধীন সুপ্রিম কোর্টে।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২৫ ১৭:০৮
প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

দীর্ঘ দিন ধরেই অধ্যাপক এবং কর্মী-আধিকারিক নিয়োগ হয়নি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০১৯-এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেও নিয়োগ করতে পারেননি কর্তৃপক্ষ। ২০২৬ বিধানসভা ভোটের আগেই কি শুরু হতে চলেছে নিয়োগ প্রক্রিয়া? ইঙ্গিত তেমনই।

সূত্রের খবর, নিয়োগ কী ভাবে হবে, সে বিষয়ে আইনি পরামর্শ নিতে শুরু করেছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সদ্য কাজে যোগ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য আশুতোষ ঘোষ। প্রথম দিনই তিনি জানিয়েছিলেন অধ্যাপক, কর্মী-আধিকারিক নিয়োগ করে পঠনপাঠনের উন্নতিসাধন তাঁর প্রাথমিক লক্ষ্য। যাতে যোগ্যতামানে হৃতগৌরব পুনরুদ্ধার করতে বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু নিয়োগ পদ্ধতি নিয়ে এখনই মুখ খুলতে নারাজ। তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় ও পড়ুয়াদের স্বার্থে অধ্যাপক নিয়োগ জরুরি। সব দিকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

সূত্রেপ খবর, আইনের নানা দিক খতিয়ে দেখে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে শীঘ্রই। এর আগে ২০১৯-এ একবার অধ্যাপক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু তার পর আর কাজ এগোয়নি। এরই মধ্যে রাজ্যে তৈরি হয়েছে এক জটিলতা। ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে মামলা চলছে আদালতে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিক দাবি করেছেন, তাঁরা এখনও নিশ্চিত নন আগের বিজ্ঞপ্তি বজায় রেখে নিয়োগ হবে, না কি নতুন করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে। কারণ ওবিসি সংরক্ষণ মামলা এখনও বিচারাধীন সুপ্রিম কোর্টে।

৬ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি বিআর গবইয়ের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে ওবিসি মামলার শুনানি যত দিন না শেষ হচ্ছে, তত দিন এ সংক্রান্ত কোনও মামলার শুনানি করা যাবে না কলকাতা হাই কোর্টে। ফলে মামলা কোন দিকে গড়াবে তা নিয়ে চিন্তিত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ দিকে দ্রুত নিয়োগও প্রয়োজন। কী ভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়, তা বিষয়েই আইনি পরামর্শ নিচ্ছেন তাঁরা।

হিসাব বলছে, ২০১৭-১৮ সালে শেষ বার অধ্যাপক নিয়োগ হয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই মুহূর্তে প্রায় ৫৯ শতাংশ অধ্যাপক পদ শূন্য। অন্য দিকে প্রশাসনিক আধিকারিক পদে শেষ নিয়োগ করা হয়েছে ২০২০ সালে। সেখানেও ঘাটতি রয়েছে ৩০-৪০ শতাংশ। স্থায়ী শিক্ষাকর্মী পদের প্রায় ৭০ শতাংশই খালি। কারণ সেখানে নিয়োগ হয়েছে প্রায় ১৮ বছর আগে, ২০০৭-০৮ সালে।

Calcutta University Recruitment OBC Reservation
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy