বৃহস্পতিবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। আর সেদিনই রয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএ,বিএসসি,বিকমের এবং এলএলবির চতুর্থ সেমিস্টারের পরীক্ষা। পরীক্ষা নিয়ে সংঘাতের আবহে হেল্পলাইন খুলল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।
নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট সময় মতো পরীক্ষা হবে তা পরিষ্কার করে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য শান্তা দত্ত দে। আর তারপরেই উপাচার্যের বিরুদ্ধে তির্যক মন্তব্য করেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অভিরূপ চক্রবর্তী। তিনি শান্তার উপাচার্য হওয়ার যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। অভিরূপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘উনি তো নিজের প্রভুদেরকে সন্তুষ্ট করতে এ সব করছেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্য়ালয়কে পরিচালনা করার মতো যোগ্যতা ওঁর কোনওদিনই ছিল না। সিভি আনন্দ বোস জোর করে ওঁকে ওই চেয়ারে বসিয়ে রেখে দিয়েছেন।’’
আরও পড়ুন:
বৃহস্পতিবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বিএ, বিএসসিতে ৭৫ ও বিকমে ৭৫টি সেন্টারে ১৪টি বিষয়ের পরীক্ষা রয়েছে। বিএ এলএলবি পরীক্ষাও রয়েছে ১১টি সেন্টারে। বিএ,বিএসসিতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় চার হাজারের মতো। বিকমে ২৫ হাজর। মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার মতো।
বুধবার উপাচার্য শান্তা দত্ত দে বলেন, ‘‘পরীক্ষা তো হবেই। আমি তো বলব ভয় যেমন ছোঁয়াচে, সাহসও তেমন ছোঁয়াচে। কন্ট্রোলার সাহেব, সবাই সাহস অর্জন করেছেন। ছেলেখেলা তো নয় এটা। আমরা এ রকম একটা কারণের জন্য পরীক্ষা পিছতে পারি না।’’
তিনি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতাদের আক্রমণের জবাবে জানান, এই চেয়ারে সেই মানুষেরই বসা উচিত, যাঁর সম্পূর্ণ অ্যাকাডেমিক স্বাধীনতা থাকবে। কোনও রাজনৈতিক দল তাঁকে নির্দেশ দেবে না। সুষ্ঠু ভাবে পরীক্ষা নেওয়া যায়, তার জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কলকাতা পুলিশকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এক দিকে যখন উপাচার্যের বিরুদ্ধে আক্রমণ চলছে তখন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফ থেকে পরীক্ষার্থীরা যাতে কোন অসুবিধা না পড়েন তার জন্য একটি হেল্পলাইন খোলা হয়েছে। কোথাও কোনও অসুবিধায় পড়লে ওই নম্বরে ফোন করলে টিএমসিপি প্রতিনিধিরা সেই পরীক্ষার্থীদের সাহায্য করবেন বলে বার্তা দেয়া হয়েছে।