গত আট বছর ধরে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে আটকে রয়েছে সমাবর্তন। চলতি বছর ২৫ অগস্ট সেই অনুষ্ঠান আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছিলেন আচার্য, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কিন্তু শিক্ষা দফতরের আপত্তিতে আয়োজন করা যায়নি সমাবর্তনের। এ দিকে বুধবার, ২৭ অগস্ট সকালেই অন্তবর্তী উপাচার্য পবিত্র চট্টোপাধ্যায়কে সরানোর নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল।
রাজভবন সূত্রে খবর, অনৈতিক ভাবে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে অধ্যাপক পবিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক অনিয়মের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসি। ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অনৈতিক ভাবে তাঁর কাছে ৩ লক্ষ টাকা দাবি করেছেন বলেও অভিযোগ। এরই প্রেক্ষিতে পবিত্রকে অপসারণ।
রাজভবনের তরফে সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এমন অভিযোগ গুরুতর। অর্থ আদায়ের চেষ্টায় অভিযুক্ত কোনও ব্যক্তিকে উপাচার্য পদে রাখা যায় না। পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থাকে নিষ্কলঙ্ক করতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।”
আরও পড়ুন:
জানা গিয়েছে এ দিন সাত সকালেই রাজ্যপালের কার্যলয়ের তরফে ই-মেল করে পবিত্র চট্টোপাধ্যায়কে জানিয়ে দেওয়া হয় অপসারণের কথা। জানা গিয়েছে, প্রাথমিক অভিযোগ পাওয়ার পর রাজভবনের তরফেও তদন্ত করা হয়েছিল। সেখান অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তাই আর পবিত্রকে উপাচার্য পদে রাখতে চাইছেন না রাজ্যপাল। এর আগে ২০২৪-এর এপ্রিলে অবশ্য রাজ্য সরকার প্রস্তাবিত নাম বাতিল করে পবিত্র চট্টোপাধ্যায়কে অন্তবর্তী উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপালই।
রাজ্য ও রাজভবনের মতানৈক্যের কারণে ২০১৭ সাল থেকে গৌ়ড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন হয়নি। ফলে শংসাপত্র হাতে পাচ্ছেন না স্নাতক-স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণেরা। তাঁদের ‘প্রভিশনাল সার্টিফিকেট’ দিয়েই কাজ চালাতে হচ্ছে। গত ২৫ আগস্ট রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন অনুষ্ঠান করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু অন্তবর্তী উপাচার্য তার আয়োজন করতে পারেননি রাজ্য শিক্ষা দফতরের আপত্তিতে। মনে করা হচ্ছে এতেও ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল।