ছবি: সংগৃহীত।
চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি রাজ্যজুড়ে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। তার আগে জেলায় জেলায় প্রস্তুতির উপর নজরদারি রাখতে ‘মনিটরিং’ টিম গঠন করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পাশাপাশি নজরদারিতে কোন বিষয়ের উপর জোর দেওয়া হবে তা নিয়ে ১৪ দফা গাইডলাইন প্রকাশ পর্ষদের।
পরীক্ষার দিনগুলি কতটা সুষ্ঠু ভাবে পরিচালিত হল সেটা যে রকম গুরুত্বপূর্ণ, তার আগে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলি প্রস্তুত রাখা সেটাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ পর্ষদের কাছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে ১৪টি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। যে বিষয়গুলির উপর গুরুত্ব দিতে হবে ‘মনিটরিং’ টিমকে। ৭ দিনের মধ্যে এই টিম গঠনের রিপোর্ট জমা দিতে হবে পর্ষদের কাছে।
পরীক্ষার আগে পরীক্ষার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে পর্ষদের তরফ থেকে ‘মনিটরিং’ টিম গঠন করা হলেও, পরীক্ষার দিন গুলিতে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে ‘মনিটারিং’ টিমের ক্ষমতা খর্ব করেছে পর্ষদ। মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন জরুরী পরিস্থিতি ছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকছে ‘মনিটরিং’ টিমের জন্য।
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সংগঠনের সহ-সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “যাঁদের নিয়ে নজরদারি টিম গঠন করে পরীক্ষার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাঁদেরকেই ব্রাত্য রাখা হচ্ছে পরীক্ষার দিনগুলিতে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে। এই টিমের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের এক প্রকার অসম্মান করছেন পর্ষদ।”
মূলত, এই ‘মনিটরিং’ টিমের কাজ হবে শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের পর্যাপ্ত সংখ্যার হিসেব রাখা। স্কুলগুলিতে পর্ষদের নিয়ম মেনে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে কিনা, পর্যাপ্ত বেঞ্চ রয়েছে কিনা, পরীক্ষা সংক্রান্ত নির্দেশিকা নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকারা কতটা সচেতন বা যদি না থাকেন তার সম্বন্ধে ধারণা দেওয়া এই মনিটারিং টিমের মূল দায়িত্ব ।
পাশাপাশি মনিটরিং টিমকে একটি স্কুলের ক্ষেত্রে খতিয়ে দেখতে হবে বৈদ্যুতিক সংযোগ, ইমার্জেন্সি লাইট, সিক রুম, ক্লক রুমের মতন একাধিক পরিকাঠামো ঠিকঠাক রয়েছে কিনা।
প্রসঙ্গত, এ বছরের মাধ্যমিকে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা প্রায় ২৫০০। এই কেন্দ্র গুলিতে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী পর্যাপ্ত পরিমাণে আছেন কিনা তা পরীক্ষার আগে নিশ্চিত করার জন্যই এই ধরনের মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে পর্ষদের তরফ থেকে, এমনটাই সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy