Advertisement
E-Paper

কুকথায় ভরা বার্তা, জোর করে নাম জানতে চাওয়াও র‌্যাগিং! নিরাপত্তার স্বার্থে ইউজিসি-র কড়া নির্দেশিকা

বিশ্ববিদ্যালয়ের বা কলেজের প্রশাসনিক কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সমাজমাধ্যম ও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপগুলিতে নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ইউজিসি-র তরফে। এমন অভিযোগ পেলে কঠোর শাস্তির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৫ ১৯:১৩
প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

র‌্যাগিং রুখতে কড়া পদক্ষেপ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি)। এ বার উচ্চশ্রেণির পড়ুয়ারা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ব্যবহার করে নবাগতদের কোনও ভাবে হয়রানি করলেও তা র‍্যাগিং হিসাবে গণ্য হবে। এই মর্মে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে ইউজিসি। ডিজিটাল নজরদারি ব্যবস্থা চালু হলে র‍্যাগিং-এর মতো ঘটনা হ্রাস পাবে বলেই মনে করছে মঞ্জুরি কমিশন।

জানা গিয়েছে, সিনিয়ররা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জুনিয়রদের হয়রানি করেছেন, এমন অভিযোগ ইউজিসি-র কাছে জমা পড়েছে গত কয়েক বছরে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ও কলেজের প্রশাসনিক কাজে ব্যবহৃত হয় এমন সমাজমাধ্যম বা কোনও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কর্তৃপক্ষকে। এই ধরনের অভিযোগ সামনে এলে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থারও কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশে বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট ছাঁটে চুল কাটাতে বাধ্য করা, মৌখিক হেনস্থা, হস্টেলে আবাসিকদের জোর করে রাতজাগানো, বয়কটের হুমকি দেওয়া, পোশাকবিধি চাপিয়ে দেওয়া এমনকি অনিচ্ছুক প়ড়ুয়ার কাছে বার বার নাম-পরিচয় জানার চেষ্টাও এ বার র‍্যাগিং বলে গণ্য হবে। নতুন শিক্ষাবর্ষের পঠনপাঠন শুরু হওয়ার আগেই এই মর্মে চিঠি পাঠানো হয়েছে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের কাছে।

কিন্তু এখানেই উঠছে প্রশ্ন। ইউজি়সি-র তরফে শুধু নির্দেশিকা এলেই তো হবে না, তা বাস্তবায়িত করার মতো সক্ষমতা থাকা প্রয়োজন বিশ্ববিদ্যালয়গুলির। ইউজিসি-র এই নয়া নির্দেশিকা প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেবজ্যোতি কোনার বলেন, “এ সংক্রান্ত স্পষ্ট নির্দেশ থাকলে তা যথাযথ ভাবে পালন করতে সুবিধা হবে। সংশ্লিষ্ট কমিটি বিষয়টি খতিয়ে দেখে বাস্তব সম্মত ভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা করবে।”

কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সঙ্গতির দিকটিও উঠে এসেছে এ প্রসঙ্গে। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির তরফে দাবি উঠছে নির্দেশিকা কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় আর্থিক সাহায্যও করুক ইউজিসি। এ প্রসঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক সংগঠনের সেক্রেটারি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “ইউজিসি নতুন নতুন নির্দেশিকা দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই ধরনের নির্দেশিকা কার্যকর করতে, ক়ড়া নজরদারির জন্য যে ধরনের পরিকাঠামো বা লোকবল দরকার তা আমাদের নেই। অর্থের জোগানও অপ্রতুল। প্রাদেশিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে ইউজিসি প্রয়োজনীয় অর্থ সাহায্য করছে না।” এ দিকে ইউজিসি-র নির্দেশিকায় রয়েছে উল্টো ফতোয়া। সেখানে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, উল্লিখিত নিয়ম কার্যকরে ব্যর্থ হলে প্রতিষ্ঠানগুলির আর্থিক অনুদান বন্ধ করে দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, ২০২৫-এর জুন মাসের শেষে ইউজিসি প্রায় ৮৯টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে শোকজ নোটিস পাঠিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আইআইটি এবং আইআইএমএস-এর মতো একাধিক প্রতিষ্ঠান।

Ragging UGC university WhatsApp
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy