Advertisement
E-Paper

জট কি কাটল উপাচার্য নিয়োগের, অক্টোবারেই নিয়োগ ছয় উপাচার্যের!

২১ দিনের মাথায় রাজভবনে হবু ছয় উপাচার্যকে ডেকে ২০ মিনিটের বৈঠক করলেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। খুব শীঘ্রই নিয়োগপত্র দেওয়া হবে এই ছয় উপাচার্যকে। রাজভবন সূত্রের খবর।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ২০:৪৪
যাদবপুর ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের হবু স্থায়ী উপাচার্য। চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য ও আশুতোষ ঘোষ।

যাদবপুর ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের হবু স্থায়ী উপাচার্য। চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য ও আশুতোষ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের ২১ দিনের মাথায় উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক আচার্যের। শীঘ্রই দেওয়া হবে নিয়োগপত্র। অক্টোবরের ৬ তারিখ সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা যাদবপুর-সহ ছ’টি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করতে হবে। তার তিন সপ্তাহ পরে রাজভবনে হবু ছয় উপাচার্যকে ডেকে ২০ মিনিটের বৈঠক করলেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। খুব শীঘ্রই নিয়োগপত্র দেওয়া হবে এই ছয় উপাচার্যকে। খবর রাজভবন সূত্রের।

বিকেল ৫টার পর রাজভবনে ছয় উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক শুরু হয়। মিনিট কুড়ির এই বৈঠকে রাজ্যপাল মূলত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির স্বাধিকার, পঠন-পাঠন নিয়ে আলোচনা করেন বলে উপাচার্যেরা জানালেন বৈঠকের পর।

বৈঠক শেষে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হবু উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আচার্য সঙ্গে এ দিনের আলোচনা মূলত সৌজন্যমূলক। তিনি বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন পাঠন, শিক্ষার্থীদের গুরুত্ব দিয়ে দেখার কথা। ছ'জন উপাচার্য পদপ্রার্থী ছিলেন তাঁদের প্রত্যেককে নিজের পরিচয়ও জানাতে বলেন তিনি।’’

বিকাশ ভবন সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠক যথেষ্ট ভাল হয়েছে। ২৯ থেকে ৩১ অক্টোবর এর মধ্যে রাজভবন ফাইল পাঠাবে বলে তারা আশাবাদী।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে যে ছ’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ডাকা হয়েছে তাঁরা হলেন, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশুতোষ ঘোষ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য, বিশ্ব বাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবু তালেব, সাধু রামচাঁদ মুর্মু বিশ্ববিদ্যালয়ের চন্দ্রদীপা ঘোষ, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের আশিস ভট্টাচার্য, কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উদয় বন্দ্যোপাধ্যায়।

গত ৬ অক্টোবর রাজ্যের ছ’টি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে সবুজ সংকেত দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। যদিও শিক্ষা দফতরের তরফে দাবি করা হয়, ছ’টি নয় মোট আটটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের পাশে সিলমোহর দেওয়া হয়েছিল শীর্ষ আদালতের তরফে। এর মধ্যে ছিল উত্তরবঙ্গ ও রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়। সূত্রের দাবি, শুনানিতে এ বিষয়ে কোন‌ও কথা না-উঠলেও শুনানি শেষে ওই দুই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের আইনজীবী, অ্যাটর্নি জেনারেল আর বেঙ্কটরমণি।

বাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের জটিলতা ও দ্বিমত মেটাতে ১৫ অক্টোবর রাজ্য সরকার এবং আচার্যের আইনজীবীদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করার কথা ছিল শীর্ষ আদালতের। কিন্তু সেই আলোচনাও ওই দিন স্থগিত হয়ে গিয়েছে। আগামী ১০ নভেম্বর সেই বৈঠক হবে বলে জানা গিয়েছে।

West Bengal VC Appointment
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy