Advertisement
E-Paper

বিরোধিতা করেও ভোটে টিএমসিপি, যাদবপুরের আইসিসি নির্বাচনে জয় পেল কোন পক্ষ?

এই ভোটে যোগ দিয়েছিল মোট চারটি ছাত্র সংগঠন। প্রাথমিক ভাবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এই ভোটের বিরোধিতা করলেও শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ে নেমেছিল।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৮:৫৩
নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব চিত্র।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটি (আইসিসি)-র নির্বাচনে জয় পেল যাদবপুর ইউনিভার্সিটি রিসার্চ স্কলার অ্যাসোসিয়েশন (জুরসা)। নোটা-এ ভোট পড়ল ১৩টি।

গত ২ ডিসেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আইসিসি ভোটের আয়োজন করা হয়। মোট ভোটার ছিলেন প্রায় ১৭০০। তাঁদের মধ্যে ভোট দিয়েছিলেন ৬৯০ জন। বুধবার ভোট গণনায় দেখা যায় জুরসা পেয়েছে ৪৫৩টি ভোট, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ১১৪টি, আইসা ৫৮টি, ডিএস‌ও ৫৮টি ভোট। ভোট বাতিল হয়েছে ৮জনের।

এই ভোটে যোগ দিয়েছিল মোট পাঁচটি ছাত্র সংগঠন। প্রাথমিক ভাবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এই ভোটের বিরোধিতা করলেও শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ে নেমেছিল। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় জুরসা-র সম্পাদক অভীক ঘোষ বলেন, “আমরা দলমত নির্বিশেষে সকলকে নিয়ে কাজ করেছি। তাই এই জয়। এত দিন যে কমিটি কাজ করছিল, তা বেআইনি। আমরা প্রায় তিন বছর এই ভোটের জন্য আন্দোলন চালিয়েছি।”

যদিও তৃণমূল ছাত্র পরিষদ আদৌ এই ভোটে লড়েছে কি না, তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। ১১৪টি ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা সুমন্ত প্রামাণিক টিএমসিপি-র সদস্য না নির্দল গবেষক ছিলেন। তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন? কিন্তু ভোটের আগেই তাঁর সঙ্গে টিএমসিপি-র দূরত্ব তৈরি হয়েছে বলে দাবি সুমন্ত প্রামাণিকের। প্রার্থী হিসাবে সুমন্তকে দলের পছন্দ ছিল না। অন্য প্রার্থী দাঁড় করানোর চেষ্টাও তারা করেছিল বলে জানা গিয়েছে। সুমন্তের অভিযোগ, টিএমসিপি-র অনেক ছাত্রই তাঁর বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়ে ভোট কাটার চেষ্টা করেছে। তাঁর কথায়, “আমি স্বাধীন ভাবে প্রচার চালিয়েছিলাম এবং ভাল ফল করেছি। এই প্রথম যাদবপুরে বামেদের বিরুদ্ধে দক্ষিণপন্থী হিসাবে এত ভোট পেয়েছি। তৃণমূল আদর্শে বিশ্বাসী ছিলাম, ভবিষ্যতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ মেনেই চলব।”

Jadavpur University
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy