প্রাথমিকে শূন্যপদ বৃদ্ধির দাবিতে শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত করলেন মিছিল ডিএলএড প্রশিক্ষিত টেট পাশ চাকরিপ্রার্থীরা। মিছিলে দেখা গেল ভাঙরের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকেও। ৫০ হাজার শূন্য পদে নিয়োগের দাবি তুললেন চাকরিপ্রার্থীরা।
প্রাইমারি টেট পাশ ডিএলএড ঐক্যমঞ্চে দাবি, ২০২২ সালে যে নিয়োগ হয়েছে, তা ২০১৪ ও ২০১৭ সালের প্রার্থীদের। ২০১৭-এর পর থেকে কোনও নিয়োগ নেই রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে। এরই মধ্যে প্রাথমিকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর ১৩,৪২১ শূন্য পদ ঘোষণা করা হয়। অপেক্ষারত চাকরিপ্রার্থীদের দাবি এই পদ বৃদ্ধি করতে হবে।
আরও পড়ুন:
টেট পাশ চাকরিপ্রার্থী বিদেশ গাজী বলেন, "আসন্ন যে নিয়োগ তা শুধু ২০২২ বা ২০২৩-এর নয়, ২০১৪ ও ১৭ সালের টেট পাশের প্রশিক্ষিতরাও যোগ দেবেন। মুখ্যমন্ত্রী আগে জানিয়েছিলেন, প্রাথমিকে প্রায় ৫০ হাজার শূন্য পদ রয়েছে। তা হলে কেন মাত্র ১৩ হাজার পদ ঘোষণা করা হল!"
আর এক চাকরিপ্রার্থীর দাবি, “সম্প্রতি শিক্ষা দফতরের একটি পরিসংখ্যান বলছে ২২১৫টি স্কুলে একজন মাত্র শিক্ষক রয়েছে। বেশিরভাগ স্কুলে শিক্ষকের অভাবে পঠনপাঠন শিকেয় উঠেছে। তাই এই অল্প শূন্য পদে আমাদের কঠিন প্রতিযোগিতার মধ্যে ফেলে দেওয়া আমরা কিছুতেই মেনে নেব না। বুনিয়াদি শিক্ষাকে বাঁচাতে অবিলম্বে শূন্যপদ বৃদ্ধি করতে হবে সরকারকে।”
বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, “সরকার বুনিয়াদি শিক্ষা একবারে শেষ করে দিচ্ছে। ৬ লক্ষ পরীক্ষার্থী টেট পাশ করে বসে আছে। তার মধ্যে মাত্র ১৩ হাজার জনকে নেওয়া হবে এটা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমি আশা করব সরকার সব দিক বিচার করে অবিলম্বে ৫০,০০০ শূন্য পদে নিয়োগ করবে।”