পুজোর পরেই হতে পারে শিক্ষাকর্মী নিয়োগের পরীক্ষা। শুক্রবার ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ২০৫তম জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানে গিয়ে এমনই ইঙ্গিত দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
গত ২৯ অগস্ট এসএসসির তরফে জানানো হয়েছিল, ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে আবেদন গ্রহণ করা হবে। চলবে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। কিন্তু গত ১৭ সেপ্টেম্বর ফের এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে তারা জানিয়েছে, এখনই আবেদন গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে, স্কুলে স্কুলে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ পরীক্ষার আবেদনের সময়সীমা পিছোচ্ছে।
আরও পড়ুন:
এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘‘পুজোর পরেই শিক্ষা কর্মী নিয়োগের বিষয়টি করা হবে। ইতিমধ্যেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের সঙ্গে আমাদের কথাও হয়ে গেছে।’’
প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির অভিযোগে বাতিল হয়েছিল ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেল। চাকরি গিয়েছিল প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর। আদালতের নির্দেশে সদ্য শেষ হয়েছে নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা। কিন্তু সুরাহা হয়নি শিক্ষাকর্মীদের।
গত ৩ এপ্রিল থেকে চাকরিহারা গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি কর্মীরা। প্রাথমিক ভাবে সরকার ভাতা দেওয়ার ঘোষণা করলেও সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তা স্থগিত হয়ে যায়। আদালতেরই নির্দেশে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু শিক্ষাকর্মীদের বিষয়টির এখনও সুরাহা হয়নি।
বৃহস্পতিবার করুণাময়ী মোড় থেকে স্কুল সার্ভিস কমিশন এর দিকে অভিযান করেন চাকরিহারা গ্রুপ সি গ্রুপ ডি শিক্ষাকর্মীরা। তাদের দাবি ‘যোগ্য’ ‘অযোগ্য’ বিভাজন করে দ্রুত ‘যোগ্য’ শিক্ষাকর্মীদের কাজে ফেরাতে হবে। পুজোর পর যে পরীক্ষা হবে তাতে যদি কেউ পাশ না করে তা হলে কঈ ব্যবস্থা নিতে হবে, তা-ও সরকারকে জানাতে হবে।
শিক্ষাকর্মী অমিত মণ্ডল বলেন, ‘‘পরীক্ষা ফর্ম পূরণ কবে শুরু হবে তার সময়সীমা এখনও জানায়নি সরকার। খালি আশ্বাস দিচ্ছে। ছ’মাস হতে চলল আমরা বেতনহীন। ছেলেমেয়েদের জামাকাপড় কিনে দিতে পারিনি।’’
শিক্ষাকর্মীদের একাংশ জানাচ্ছেন, আশ্বাস নয় পুজোর পর সঠিক উত্তর না মিললে রাজপথে নেমে বৃহত্তর আন্দোলন হবে।