সাড়ে সাত ঘণ্টা রাজপথে আন্দোলনের পর সোমবার সন্ধ্যা প্রায় সাড়ে ৬টা নাগাদ নতুন চাকরিপ্রার্থীদের তুলে দিল বিধাননগর পুলিশ। সপ্তাহের প্রথম কাজের দিন দুপুর ১২ টা থেকে বিধাননগরের করুণাময়ীতে জমায়েত করেন এসএসসি একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির জন্য শিক্ষক নিয়েগের পরীক্ষায় বসা নতুন চাকরিপ্রার্থীরা। উদ্দেশ্য বিকাশভবন অভিযান হলেও পুলিশ তাঁদের আটকে দেয় ময়ূখভবনের আগেই।
বিক্ষোভকারীরা তখন বসে পড়েন বইমেলা প্রাঙ্গণের কাছে।
পুলিশের তরফ থেকে বার বার কথা বলা হলেও বিক্ষোভ তুলে নিতে রাজি হননি চাকরিপ্রার্থীরা। প্রতিনিধি পাঠিয়ে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার প্রস্তাবও নাকচ করে দেন তাঁরা। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে অবস্থান বিক্ষোভ। দাবি ওঠে শিক্ষামন্ত্রীকে এসে কথা বলতে হবে।
যদিও পুলিশ সাফ জানিয়ে দেয় আগে থেকে অনুমতি না নেওয়ায় রাস্তার উপর অবস্থান করতে দেওয়া হবে না বিক্ষোভকারীদের। ফলে রাতভর বিক্ষোভের পরিকল্পনা থাকলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। সন্ধ্যার পর তাদের জোর করে তুলে দেয় পুলিশ।
আরও পড়ুন:
নতুন চাকরিপ্রার্থী সায়রা বানু বলেন, "আমরা আজকের আন্দোলনের জন্য ততটা প্রস্তুতি নিয়ে আসেনি। আজ পুলিশ বলপূর্বক তুলে দিল। কিন্তু আমরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনে দিকে যাব।"
অভিযোগ, পূর্ণ নম্বর পাওয়ার পরও ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাক পাননি বহু চাকরিপ্রার্থী। কারণ তাঁরা এই প্রথম পরীক্ষায় বসছেন। কেউ এর আগে পরীক্ষা দিলেও চাকরির সুযোগ পাননি। তাই অভিজ্ঞতার জন্য দেওয়া ১০ নম্বর পাননি কেউই।
গত ৪ সেপ্টেম্বর একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় বসেছিলেন অনেক নতুন প্রার্থীই। তাঁদের অনেকেই পূর্ণমান ৬০-এর মধ্যে পেয়েছেন ৬০। কিন্তু ইন্টারভিউয়ের জন্য যে তালিকা প্রকাশ পেয়েছে, সেখানে তাঁদের নাম নেই। অর্থাৎ, যথার্থ যোগ্য হয়েও তাঁরা এ বার শিক্ষকতার চাকরিটি জোটাতে পারলেন না।
ইন্টারভিউয়ে জন্য ডাক না পেয়ে ক্ষুব্ধ এই নবীন চাকরিপ্রার্থীরা। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী তাঁরা সোমবার সকালে করুণাময়ী থেকে বিকাশ ভবন অভিযান শুরু করেছেন। দাবি, ইন্টারভিউয়ের আগে অভিজ্ঞতার জন্য ১০ নম্বর দেওয়া যাবে না। তা ছাড়া আরও ১ লক্ষ শূন্যপদ তৈরি করতে হবে, যাতে নতুন প্রার্থীরাও চাকরি পান।