Advertisement
E-Paper

শুরু হয়েছে এসএসসির অ্যাডমিট কার্ড দেওয়ার প্রক্রিয়া, ডাউনলোড করতে পারছে না 'অযোগ্য'রা

প্রায় কয়েকশো প্রার্থী অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করতে গিয়ে করতে গিয়ে দেখছেন ওয়েবসাইট স্পষ্ট করে টেন্টেড বা 'অযোগ্য' বলে উল্লেখ রয়েছে। যার ফলে ঐ সমস্ত আবেদনকারীরা অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করতে পারছে না।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২৫ ২২:৩৬

—ফাইল চিত্র।

১৮০ জন ‘অযোগ্য’ প্রার্থীর পরেও কি এখনও শিক্ষক নিয়োগের আবেদনকারীদের মধ্যে রয়ে গিয়েছেন ‘অযোগ্যরা’? ১৪ অগস্ট থেকে প্রভিশনাল অ্যাডমিট কার্ড দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। অভিযোগ,কয়েকশো প্রার্থী অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করতে গিয়ে করতে গিয়ে দেখছেন ওয়েবসাইট স্পষ্ট করে টেন্টেড বা ‘অযোগ্য’' বলে উল্লেখ রয়েছে। যার ফলে ঐ সমস্ত আবেদনকারীরা অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করতে পারছেন না।

স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেওয়ার পর অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করতে যাওয়ার সময় সেখানে স্পষ্ট লেখা আছে ২০১৬ সালের প্রথম এসএলএল‌এসটি পরীক্ষায় 'অযোগ্য' হিসাবে চিহ্নিত হওয়ায় তাঁদের আবেদন বাতিল হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার ৫ লক্ষ ৮৩ হাজার মতো আবেদনকারী চাকরিপ্রার্থীদের প্রভিশনাল অ্যাডমিট কার্ড আপলোড করেছে এসএসসি।

এ প্রসঙ্গে চাকরিহারা 'যোগ্য' শিক্ষক-শিক্ষিকার অন্যতম নেতা মেহবুব মণ্ডল বলেন, ‘‘এসএসসি তড়িঘড়ি মৃতদেহকে সমাধিস্থ করতে পরীক্ষা নিতে চাইছে। আমাদের এই তাড়াহুড়ো করে নিয়োগ নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। যে অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হচ্ছে তাও যথেষ্ট সন্দেহজনক।’’

চাকরিহারাদের অভিযোগ, অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হচ্ছে সেখানে আবেদনকারী পরীক্ষার্থীদের সই করার জায়গা নেই এবং ইনভিজিলেটরদের সই করানোর কলম নেই। তা হলে একজন পরীক্ষার্থী কোন পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়েছে তা বোঝা যাবে কী করে। এখানে জালিয়াতির আশঙ্কা করছেন চাকরিহারারা। তাঁদের আর‌ও অভিযোগ একদিকে স্কুল সার্ভিস কমিশন বলছে তাঁদের কাছে 'অযোগ্যদের' তালিকা নেই। তাহলে এই চিহ্নিতকরণ করছে কী ভাবে । আবার মামলাকারী একাংশের বক্তব্য, কমিশন এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চাইছে। আদালতে এতদিন রাজ্য এবং কমিশন দাবি করে এসেছে, পরীক্ষার পর, ইন্টারভিউ ও প্যানেল প্রকাশের আগে, সফল প্রার্থীদের ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশন ছাড়া 'অযোগ্য'দের চিহ্নিত করা সম্ভব নয়। অন্যদিকে কয়েকশো প্রার্থীর অ্যাডমিট কার্ড 'অযোগ্য' বলে আপলোড না করে কয়েকশো প্রার্থীর আবেদন খারিজ করে মামলার রাস্তা বন্ধ করতে চেয়েছেন।

এসএসসি তার বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে, এখন‌ও 'অযোগ্য'দের ধরার প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। সেজন্য কমিশন আইন-বিধি এবং আদালতের রায় মেনে ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে পরবর্তী কাউন্সেলিং পর্যন্ত 'যোগ্যতা' যাচাই চলবে।

২০১৬ সালের নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল করে সুপ্রিম কোর্ট। এদের মধ্যে ১৭,২০৬ জন শিক্ষক শিক্ষিকা। যার মধ্যে ১৫ হাজার ৪০৩ জনকে 'যোগ্য' বলে চিহ্নিত করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। অর্থাৎ প্রায় ১৮০০ চাকরিপ্রার্থীর অ্যাডমিট কার্ড খারিজের পথে হাঁটছে এসএসসি।

WBSSC Admit Card
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy