মেডিক্যালে স্নাতকোত্তর স্তরের প্রবেশিকার ফলাফলে অস্বচ্ছতার অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা। মামলা চলাকালীনই ন্যাশনাল বোর্ড অফ এক্জ়ামিনেশন ইন মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এনবিইএমএস) জানিয়েছিল, নিট পিজি-র ফলাফলের ‘আনসার কি’, ‘রেসপন্স শিট’ এবং ‘কোয়েশ্চেন আইডি’ প্রকাশ করা হবে। কিন্তু পরে ‘কারেক্টিভ নোটিস’ দিয়ে বোর্ড জানায়, শুধুমাত্র ‘কোয়েশ্চেন আইডি’ দেখতে পারবেন উত্তীর্ণেরা।
কিন্তু বোর্ড কী ভাবে স্বচ্ছতা বজায় রাখছে? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন চিকিৎসক মহলের একাংশ। ২০২৫-এর ৩ অগস্ট নিট পিজি হওয়ার পর ১৯ অগস্ট পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হয়। পরীক্ষা দিয়েছিলেন প্রায় ২ লক্ষ ৪২ হাজার জন। তাঁদের একাংশের অভিযোগ, পরীক্ষা ব্যবস্থায় অস্বচ্ছতা রয়েছে। প্রায় ১ লক্ষ ৩৮ হাজার পরীক্ষার্থীর ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করা হয়েছে। প্রথমে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও প্রকাশ করা হয়নি পরীক্ষার ‘আনসার কি’। এই সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয় শীর্ষ আদালতে।
দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর সুপ্রিম কোর্ট এমবিইএমএস-কে নির্দেশ দেয়, সমস্ত পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর, ‘আনসার কি’, ‘কোয়েশ্চেন আইডি’-র মতো তথ্য প্রকাশ করার। যদিও এখনও পর্যন্ত বোর্ডের তরফে শুধুমাত্র ‘কোয়েশ্চেন আইডি’ প্রকাশ করা হয়েছে। আর তাতেই শীর্ষ আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করে। বোর্ডের কাছে এর ব্যাখাও চাওয়া হয়। ২৮ অক্টোবর মামলার শুনানিতে এই বিষয়ে বোর্ডের বক্তব্য শুনবে শীর্ষ আদালত।
এই মামলায় শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ২ লক্ষেরও বেশি পরীক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র কয়েকজনই অভিযোগ জানিয়েছেন। তাই পরীক্ষায় সার্বিক ভাবেই সকলের সমস্যা হয়েছে নাকি ব্যক্তিবিশেষে অভিযোগ রয়েছে— তা আলোচনা সাপেক্ষ।