Advertisement
E-Paper

প্রাথমিকের ৩২ হাজার চাকরি মামলায় নিয়োগ-নথি সংরক্ষণের নির্দেশ পর্ষদের

প্রত্যেকটি জেলার ডিপিএসসি চেয়ারম্যানদের চিঠি দিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিব।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৫ ২৩:৩৬
প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

নিয়োগ-নথি সংরক্ষণ নিয়ে সতর্ক প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ২০১৬-এর নিয়োগের যাবতীয় নথি সংরক্ষণ করতে চিঠি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের। প্রত্যেকটি জেলার ডিপিএসসি চেয়ারম্যানদের চিঠি দিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিব।

অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে সব নথি সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। অনুমতি ছাড়া কোন‌ও নথি কাউকে দেওয়া যাবে না বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বর্তমানে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বিচারাধীন রয়েছে। ২০১৬-তে নিয়োগ প্রক্রিয়া বিভিন্ন জেলা ডিপিএসসি অফিস মারফত হয়েছিল। তাই প্রত্যেকটি জেলায় নিয়োগ-নথি থাকবে। সেই কারণেই এই চিঠি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বলেই পর্ষদ সূত্রে খবর। পরবর্তী নির্দেশ না মেলা পর্যন্ত সব নথি সংরক্ষণ করে রাখতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এই নির্দেশ দেওয়ার ধরণ থেকেই বোঝা যাচ্ছে, নিয়োগ সংক্রান্ত নথি সরকারের অন্দরমহল থেকেই বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তার চেয়ে বড় ব্যাপার এই সংক্রান্ত অনিয়ম ও দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে তাতে কি পর্ষদ প্যানেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে আরও আশঙ্কিত হয়ে পড়েছে?’’

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ১৬ মে কলকাতা হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং চাকরিহারা শিক্ষকেরা। এর পরে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। তার পর সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা হয়েছিল। যদিও শীর্ষ আদালত হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চেই এই মামলা ফেরত পাঠায়। গত ৭ এপ্রিল সাময়িক ভাবে শুনানি স্থগিত হয়ে গিয়েছিল বিচারপতি সৌমেন সেন এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোয়। ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার প্রার্থী। পর্ষদ ২০১৬ সাল থেকে তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে। চাকরি দেওয়া হয় ৪২ হাজার ৯৪৯ জনকে। কিন্তু ওই নিয়োগে একাধিক ত্রুটির অভিযোগ করে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। তারই ভিত্তিতে চাকরি বাতিলের রায় দিয়েছিল সিঙ্গল বেঞ্চ।

West Bengal Board of Primary Education
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy