বাংলায় শীত উধাও হলেও শীতের দাপট বহাল হিমাচল প্রদেশে৷ হিমাচল প্রদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বৃষ্টি ও তুষারপাত অব্যাহত। গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টি ও প্রবল ঠান্ডার জেরে এই প্রদেশের অনেকাংশেই জনজীবন বিপর্যস্ত। শৈত্যপ্রবাহের কারণে বৃহস্পতিবার মানালির অবস্থা বেশ খারাপ। একই অবস্থা হিমাচলের প্রত্যন্ত আদিবাসী অঞ্চলেও, সেখানেও ঘর ছেড়ে বেরোতে পারেননি কেউ। সিমলা আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বছরের এই সময়ে সাধারণত যেখানে সিমলা এবং মানালির তাপমাত্রা থাকে সর্বোচ্চ ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সেখান থেকে তা নেমে এসেছে যথাক্রমে ৫.২ ডিগ্রি ও ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। কল্পায় তাপমাত্রার পারদ নেমে এসেছে হিমাঙ্কের ৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস নীচে। ধর্মশালা, সোলান, সুন্দরনগর, কাংড়ায় তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করেছে ৭ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
তুষারপাতের জেরে মধ্য ফেব্রুয়ারিতেও বরফের চাদরে মুখ ঢেকেছে পাহাড়ি হিমাচল। মানালি ঢেকে গিয়েছে ১০ সেন্টিমিটার পুরু তুষারে, সোলাং স্কি স্লোপে তুষার পড়েছে ২০ সেন্টিমিটার। রোহতাং ও লাহুল-স্পিতির কেলং-এ তুষারপাতের পরিমাণ যথাক্রমে ৬০ সেন্টিমিটার ও ১০ সেন্টিমিটার। ব্যাপক হারে এই তুষারপাত প্রভাব ফেলেছে হিমাচল প্রদেশের যানচলাচলে, বন্ধ হয়ে আছে অধিকাংশ রাস্তা। গাড়ি ভাড়াও এক ধাক্কায় বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই। তবে একই অঞ্চলে আটকে থাকতে হলেও তুষারপাতের কারণে পর্যটকদের মুখে দেখা গেছে খুশির ঝলক। মানালি মল রোডে বেড়ে গিয়েছে পর্যটকদের আনাগোনা। তুষারপাত অব্যাহত থাকায় যানচলাচলের সমস্যা কাটিয়েও পর্যটকদের ভিড় আরও বাড়তে পারে বলেই আশা। পর্যটক আসায় বেড়ে গিয়েছে হোটেল-ব্যবসাও। শুধু পর্যটক ও হোটেল-মালিকরাই নন, আবহাওয়ার পরিবর্তনে আনন্দিত এই প্রদেশের কৃষকরাও। তাপমাত্রার এই পরিবর্তন যে আদতে বিপুল পরিমাণ ফলনেরই ইঙ্গিত। আগামী ২৪ ঘন্টায় আরও বেশি পরিমাণে তুষারপাত হতে পারে বলে ঘোষণা করেছে সিমলা আবহাওয়া দফতর। ফলে তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে।
স্থান
তাপমাত্রা (ডিগ্রি সেলসিয়াস)
সিমলা
৫.২
মানালি
১
কল্পা
- ৭.২
ধর্মশালা ও সোলান
৭
সুন্দরনগর
৮
কাংড়া
৯.৮
মানালিতে তুষারপাত। নিজস্ব চিত্র
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy