প্রোটিয়াদের দুরমুশ করে জয়োল্লাস মিসবা বাহিনীর। ছবি: এএফপি।
ভারতের পর পাকিস্তানের কাছেও বিশ্বকাপে প্রথম বার হারের মুখ দেখল দক্ষিণ আফ্রিকা। আর পিচে বাউন্স থাকলে তা যে শুধু ভারতীয়রাই অপছন্দ করেন না ফের এক বার প্রমাণ করলেন দু’দলের ক্রিকেটাররা।
অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে শনিবার সকাল থেকেই দাপট ছিল বোলারদের। বা বলা ভাল পেসারদের। পাকিস্তান ইনিংসের ১০টি উইকেটের সাতটি নেন স্টেইন-মর্কেল-অ্যাবটের পেস ব্যাটারি। বাকি তিনটি উইকেটের একটি রান আউট। একটি এবি-র অনিয়মিত মিডিয়াম পেসের। একমাত্র ওয়াহাব রিয়াজের উইকেটটি নেন লেগ স্পিনার ইমরান তাহির। পাক ইনিংসের একটি উইকেট স্পিনারদের দখলে গেলেও দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষেত্রে সেটাও হয়নি। প্রোটিয়াদের সবাই আউট হন পাক পেসারদের বলে। এর মধ্যে আবার ন’টি উইকেট ভাগাভাগি করে নেন তিন বাঁহাতি— মহম্মদ ইরফান, ওয়াহাব রিয়াজ এবং রাহাত আলি।
ওপেনিং সমস্যায় নাস্তানাবুদ পাকিস্তান এ দিন উইকেটরক্ষক সরফরাজ আহমদকে দিয়ে ওপেন করিয়ে একটা ফাটকা খেলতে চেয়েছিল। থিঙ্কট্যাঙ্ককে হতাশ করেননি সরফরাজ। ৪৯ রান করে রান আউট হন তিনি। আহমদ শেহজাদের সঙ্গে প্রথম উইকেটে মাত্র ৩০ রান যোগ করলেও চলতি বিশ্বকাপে এটাই পাকিস্তানের সেরা পারফরম্যান্স। চলতি বিশ্বকাপে এর আগে চারটি ম্যাচে সব মিলিয়ে ২১ রান যোগ করেছিলেন পাক ওপেনাররা। কিন্তু সরফরাজ পারলেও হতাশ করল বাকি পাক ব্যাটিং। অভিজ্ঞ মিসবা বাদে স্টেইন-মর্কেলদের সামনে নাস্তানাবুদ হতে থাকেন বাকি পাক ব্রিগেড। ৫৬ রান করেন পাক অধিনায়ক। ১৪৭তম এক দিনের আন্তর্জাতিকে এটি তাঁর ৪২তম অর্ধশতরান। ৪৩-এর উপর গড় থাকা পাক অধিনায়কের যদিও কোনও শতরান নেই।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলে কুইন্টন ডি’কক আউট হলেও পাল্টা মারতে থাকেন আমলা-দু’প্লেসি। কিন্তু আমলা আউট হতেই প্রোটিয়া ব্যাটিংয়ে নামে ধস। ৬৭/১ থেকে ৭৭/৫ হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। উল্টো দিকে দাঁড়িয়ে সতির্থদের আসা যাওয়া দেখতে থাকেন ডেভিলিয়ার্স। একা কুম্ভ হয়ে ৭৭ রান করলেও লাভ কিছু হল না। ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ২৯ রানে হারল প্রোটিয়ারা।
এ দিনের জয়ের ফলে পাঁচ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং পাকিস্তান দু’দলেরই ছ’পয়েন্ট হল। রান রেটে সামান্য এগিয়ে থাকায় ভারতের পরেই দু’নম্বরে থাকল স্টেইনরা।
২৪ ঘণ্টা আগে অপছন্দের বাউন্সি পিচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কোনওমতে হারানোকে কটাক্ষ করেছিলেন অনেক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ। আঙুল তুলেছিলেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের দিকে। কিন্তু এ দিন দুই দলের ব্যাটসম্যানদের শোচনীয় ব্যাটিং আরও এক বার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল বাউন্সি পিচে খেলতে কেউই তেমন পছন্দ করেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy