মুম্বইয়ের বিমানবন্দরে ইয়েমেন থেকে ফেরা ভারতীয়েরা। সোমবার পিটিআইয়ের তোলা ছবি।
সোমবার সন্ধ্যার মধ্যে ইয়েমেনে আটকে পড়া বাকি ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। এ দিন এ কথা জানালেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকর। অন্য দিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সফল ভাবে ‘মিশন রাহত’ পরিচালনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দফতরের প্রশংসা করেছেন। বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, বিদেশ দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জেনারেল ভি কে সিংহেরও প্রশংসা করেছেন তিনি। এ দিন টুইটারে ভারতীয় নৌসেনা এবং বায়ুসেনাকেও ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
সরকারি সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ইয়েমেন থেকে প্রায় ২৩০০ জনকে উদ্ধার করা গিয়েছে। প্রায় তিন হাজার ভারতীয় ইয়েমেনে বাস করতেন। অন্য দিকে, ইয়েমেন থেকে মুম্বই ফেরা কেরলবাসীদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হচ্ছে বলে জানিয়েছে কেরল সরকার। মুম্বইয়ে ফেরা ৪৫৪ জন ভারতীয়দের মধ্যে ১৬৮ জন কেরলবাসী। মুম্বই থেকে ট্রেন ও বিমানে কেরল ফেরার ব্যবস্থা করতে তাঁদের অসুবিধা হচ্ছে। অনেকেই তাই প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। এ দিন কেরলের এক মন্ত্রী কে সি জোসেফ জানান, এঁদের ফিরে আসতে সব রকমের ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার।
অন্য দিকে, সানায় ‘আল কুয়েতি ইউনিভার্সিটি হসপিটাল’-এ কেরলের ১৮০ জন নার্স আটকে পড়েছেন। অভিযোগ, তিন মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না তাঁরা। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি এমনই যে তাঁদের পক্ষে সানার বিমানবন্দরে পৌঁছনো সম্ভব নয়। মুক্তির জন্য কেরলের মুখ্যমন্ত্রী উমেন চান্ডির সাহায্য চেয়েছেন তাঁরা।
এ দিন নিয়ে টানা ১১ দিন ধরে সৌদি আরবের নেতৃত্বে আরব লিগের বায়ুসেনা ইয়েমেনে বিমান হানা চালাচ্ছে। এই হামলায় অন্তত ৫০০ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে রাষ্ট্রপুঞ্জ সূত্রে খবর। রাজধানী সানায় জনজীবন স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। সাধারণ মানুষ বাড়ি থেকে বেরোতে পারছেন না বলে জানা গিয়েছে। বেশ কিছু জায়গায় খাদ্যাভাব এবং পরিশ্রুত পানীয় জলের অভাব দেখা দিয়েছে। বেশির ভাগ সময় সেখানে বিদ্যুৎ পরিষেবা মিলছে না। এমনকী, রাস্তায় মৃতদেহ পড়ে থাকলেও তা উদ্ধারের পর্যাপ্ত কর্মী নেই বলে জানা গিয়েছে।
এই পরিপ্রেক্ষিতেই সৌদি আরব সরকারের অনুমতিতে সেখানে ত্রাণের কাজ শুরু করেছে রেড ক্রস। রেড ক্রসের দু’টি বিমানে ত্রাণকর্মী এবং ত্রাণসামগ্রী নিয়ে যাওয়া হবে। এ ছাড়া, জলপথে কয়েক জন শল্যচিকিৎসক নিয়ে ইয়েমেন যাবে রেড ক্রস।
বেশ কয়েক দিন বিমান হানার পরেও শিয়া হুথি বিদ্রোহীদের অগ্রগতি আটকানো যায়নি। আডেনে বেশ খানিকটা এগিয়ে গিয়েছে তারা। পাশাপাশি, মুয়াল্লা বন্দরের দিকেও হুথিরা এগিয়ে গিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ক্রমেই ইয়েমেনে সেনা পাঠানোর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। পাকিস্তানের পার্লামেন্টে এক বিতর্কে প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মহম্মদ আসিফ জানিয়েছেন, পাক-সেনার সাহায্য চেয়েছে সৌদি আরব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy