পুলিশের সঙ্গে যোগসাজস করে কাউন্সিলরদের হুমকি, ভয় দেখানোর অভিযোগের মধ্যেই রেল শহর খড়গপুরের পুরবোর্ড গঠন করল তৃণমূল। পুরপ্রধান হলেন প্রদীপ সরকার।
খড়গপুরে মোট ওয়ার্ড ৩৫টি। এ দিন পুরপ্ররধান নির্বাচনের ভোটাভুটিতে ১৯ জন কাউন্সিলরের ভোট যায় তৃণমূলের অনুকূলে। ১৫টি ভোট পায় কংগ্রেস শিবির। একটি ভোট বাতিল হয়। গোপন ব্যালটে ভোট হওয়ায় কার ভোট কোন শিবিরে গিয়েছে তা স্পষ্ট নয়। তবে অনুমান, বিজেপির দুই কাউন্সিলরই তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন। আর তাঁদেরই এক জনের ভোট বাতিল হয়েছে। অন্য দিকে কংগ্রেসের ১১টি এবং বামেদের ৪টি ভোট গিয়েছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পুরপ্রধান নির্বাচনের ফল যে তৃণমূলের অনুকূলেই যেতে চলেছে এ দিন ভোটাভুটির আগে সভাপতি নির্বাচনেই তার আভাস মেলে। ১৯-১৫ ভোটে সভাপতি হন ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তুষার চৌধুরী। এ দিন সকাল থেকেই পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
ভোটপর্ব চলাকালীন। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ।
এ দিন আদালতের নির্দেশ মেনে কড়া পুলিশি ঘেরাটোপের মধ্যে বেলা ১১টা থেকে পুরবোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। তবে আগে থেকেই ১৮টি আসন তৃণমূলের দখলে থাকায় পুরবোর্ড গঠনের ক্ষেত্রে একধাপ এগিয়েই ছিল শাসকদল। এ দিন আরও একটি আসন পায় তারা। বিজেপির সুখরাজ কউর এবং অনুশ্রী বেহেরা দু’জনেই তৃণমূলকে ভোট দেন। তবে সম্ভবত অনুশ্রীদেবীর ভোটটি বাতিল হয়।
ভোটপর্ব মিটে যাওয়ার পরে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে কংগ্রেস সমর্থকেরা পুলিশের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। পরে কংগ্রেসের বিদায়ী পুরপ্রধান রবিশঙ্কর পাণ্ডে সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘ভয় দেখিয়ে তৃণমূল বোর্ড গঠন করেছে। খড়গপুরের মানুষের নজরেও তা এসেছে। ’’ বুধবার রাতে সুখরাজের বাড়িতে গিয়ে তৃণমূল হুমকি দিয়েছিল বলে তিনি অভিযোগ করেন। যদিও এ দিন সেই অভিযোগ মানতে চাননি সুখরাজ।
ছবি: রামপ্রসাদ সাউ।