Advertisement
E-Paper

ভর্তির দাবিতে ব্যারাকপুরের স্কুলে ভাঙচুর

ভর্তির দাবিতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটল ব্যারাকপুর গার্লস হাইস্কুলে। বৃহস্পতিবার দুপুরে যখন একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তখনই উত্তেজনা ছড়ায় স্কুলের মধ্যে। স্কুলের পক্ষ থেকে টিটাগড় থানায় ফোন করায় পুলিশ পৌঁছয় কিছু ক্ষণের মধ্যেই। অভিযোগ, প্রধান শিক্ষিকা ও সহকারী প্রধান শিক্ষিকা তত ক্ষণে অভিভাবকদের একাংশের হাতে নিগৃহীত হয়েছেন। প্রধান শিক্ষিকার ঘরে ভাঙচুর করা হয়েছে। স্কুলের পক্ষ থেকে অবশ্য বিকেল পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। গ্রেফতারও হননি কেউ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০১৫ ১৯:৪০
প্রধান শিক্ষিকার ঘরে ভাঙচুর। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়।

প্রধান শিক্ষিকার ঘরে ভাঙচুর। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়।

ভর্তির দাবিতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটল ব্যারাকপুর গার্লস হাইস্কুলে। বৃহস্পতিবার দুপুরে যখন একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তখনই উত্তেজনা ছড়ায় স্কুলের মধ্যে।

স্কুলের পক্ষ থেকে টিটাগড় থানায় ফোন করায় পুলিশ পৌঁছয় কিছু ক্ষণের মধ্যেই। অভিযোগ, প্রধান শিক্ষিকা ও সহকারী প্রধান শিক্ষিকা তত ক্ষণে অভিভাবকদের একাংশের হাতে নিগৃহীত হয়েছেন। প্রধান শিক্ষিকার ঘরে ভাঙচুর করা হয়েছে। স্কুলের পক্ষ থেকে অবশ্য বিকেল পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। গ্রেফতারও হননি কেউ।

কিন্তু কেন স্কুলে এই আচমকা হামলা?

অভিভাবকদের একাংশের অভিযোগ, স্কুলের নোটিস বোর্ডে ন্যূনতম যে নম্বরের ভিত্তিতে ভর্তির কথা লেখা হয়েছে তার থেকে বেশি নম্বর পাওয়া সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ ভর্তি নিতে অস্বীকার করছেন। পাপিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়, মাধবী মান্না, মুনমুন চৌধুরীদের অভিযোগ, মোট নম্বর ছাড়াও বিষয়ভিত্তিক যে নম্বর পেলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ভর্তি নেওয়ার কথা বলা হয়েছে, তাঁদের মেয়েরা তার থেকে বেশি নম্বর পেলেও সেই বিষয়ে কেন পড়তে পারবে না? প্রধান শিক্ষিকা এই ছাত্রীদের ভর্তি নিতে অস্বীকার করছেন।

ঘটনাচক্রে এ বার মাধ্যমিকের সার্বিক ফলাফল বেশ ভাল। বহু স্কুলে সব পরীক্ষার্থী পাশ করেছে। ব্যারাকপুর গার্লস হাইস্কুলের ফল প্রতি বারই খুব ভাল হয় বলে এই স্কুলে উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তির চাপও বেশি থাকে। এ বার এই স্কুল থেকে ২৪৯ জন মাধ্যমিক দিয়েছিল। সকলেই পাশ করেছে। এর মধ্যে প্রথম বিভাগে পাশ করেছে ১৭০ জন। উচ্চমাধ্যমিক পড়ার জন্য এই স্কুলে আসন ১৫০টি বলে স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি।

প্রধান শিক্ষিকা ছন্দা দাশগুপ্ত’র অভিযোগ, ‘‘১৫০ জনের জায়গায় আরও দশ জন বাড়ানো যায়। তা বলে সবাইকে কি নেওয়া সম্ভব? পড়ানোর পরিকাঠামোই তো নেই। আর ওঁরা যে অভিযোগ করছেন তা ঠিক নয়। যেখানে রেজাল্ট ভাল হয়েছে, সেখানে মেধার ভিত্তিতেই আমাদের ভর্তি করাতে হবে। প্রথম তালিকায় নাম ওঠেনি যাদের তাদের অভিভাবকদের কেউ কেউ আজকের গণ্ডগোলে ছিলেন দেখেছি।’’ এই ঘটনার পরে স্কুলের সামনে পুলিশ পিকেট বসে।

Vandalism Barrackpore controversy School police Chanda Dasgupta
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy