ইজরায়েলের হামলায় আক্রান্ত গাজার একটি পুনর্বাসন কেন্দ্র। ছবি: রয়টার্স।
গাজায় আক্রমণ জারি রাখল ইজরায়েল। শনিবার ইজরায়েলের আক্রমণে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে দু’জন প্রতিবন্ধী মহিলাও আছেন বলে প্যালেস্তিনীয়দের তরফে জানান হয়েছে।
সম্প্রতি তিন জন ইজরায়েলি কিশোরকে অপহরণ করা হয়। কয়েক দিন পরে তাদের মৃতদেহ মেলে। ইজরায়েলের অভিযোগ, প্যালেস্তিনীয় জঙ্গিরা এই কিশোরদের হত্যা করেছে। এর পরে ইজরায়েল একশোরও বেশি প্যালেস্তিনীয়কে গ্রেফতার করে। এক জন যুবকের মৃত্যুও হয়। জবাবে ইজরায়েলের উপরে রকেট হামলা চালাতে শুরু করে হামাস। এই হামলার জবাবে বিমান আক্রমণ শুরু করে ইজরায়েল।
বিমান হামলায় এখনও পর্যন্ত অন্তত ১১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর বড় অংশ সাধারণ প্যালিস্তিনীয় নাগরিক। কিন্তু এর পরেও ইজরায়েলের হামলা থামানোর কোনও পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানেয়াহু। তিনি বলেন, “কোনও আন্তর্জাতিক চাপ সর্বশক্তি প্রয়োগ করা থেকে আমাদের আটকাতে পারবে না।” বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন। ইজরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার মেনে নিলেও যত দ্রুত সম্ভব আক্রমণে ইতি টেনে শান্তির পরিবেশ ফিরিয়ে আনার কথা মার্কিন প্রশাসনের তরফে ইজরায়েলকে জানান হয়েছে। সংঘর্ষ যাতে আরও ছড়িয়ে না পড়ে তা দেখার জন্য মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব চাক হেগেল ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোশে ইয়ালোনকে অনুরোধ করেছেন।
গাজা থেকে ছোড়া রকেট হামলায় সন্ত্রস্ত ইজরায়েলের বাসিন্দা। ছবি: এপি।
এ দিন প্যালিস্তিনীয় প্রশাসনের তরফে জানান হয়েছে, ইজরায়েলের ট্যাঙ্ক গাজার পূর্ব প্রান্তে একটি পুনর্বাসন কেন্দ্রে আক্রমণ চালায়। এই হামলায় দুই বৃদ্ধ প্রতিবন্ধী মহিলার মৃত্যু হয়েছে। বোমায় একটি মসজিদও ধ্বংস হয়েছে। মসজিদটিতে অস্ত্র রাখা হত বলে ইজরায়েলের তরফে দাবি করা হয়েছে।
অন্য দিকে, ইজরায়েলের উপরে গাজা থেকে রকেট হামলা চলছে। মার্কিন সহযোগিতায় নির্মিত রকেট প্রতিরোধী ‘আয়রন ডোম’ ব্যবস্থা অধিকাংশ রকেট হামলাই প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছে। তবে এ দিন একটি রকেট গাজার ৩০ কিলোমিটার উত্তরে আশদোদ-এ একটি অয়েল ট্যাঙ্কারের উপর পড়ে। এতে এক ইজরায়েলি গুরুতর জখম হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও সাত জন। প্যালেস্তাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস রাষ্ট্রসঙ্ঘকে এই অঞ্চলে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করার জন্য অনুরোধ করেছেন। যদিও ইজরায়েলের তরফে জানান হয়েছে, নাগরিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আক্রমণ চলবে। প্রয়োজনে ২০০৯-এর মতো স্থলবাহিনী অভিযানে নামবে। এখনও পর্যন্ত এক হাজারটি লক্ষ্যে আঘাত হানা হয়েছে।
যদিও হামাসের দাবি, ইজরায়েলের এই হামলায় তাদের মনোবলে ভাটা পড়েনি। ইজরায়েল আক্রমণ বন্ধ না করলে রকেট হামলা চলবে বলে হামাস হুমকি দিয়েছে। এমনকী তেল আভিভ-এ, বেন-গুরিয়ন বিমানবন্দরেও তারা আক্রমণ চালাতে সক্ষম বলে হামাসের তরফে দাবি করা হয়েছে। গাজার পাশাপাশি লেবানন থেকে ইজরায়েলের দিকে রকেট ছোড়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ইজরায়েল জবাবে লেবাননের ওই অঞ্চলে বোমাবর্ষণ করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy