চলছে তদন্ত। ছবি: পিটিআই।
চেন্নাই বিস্ফোরণে সাহায্য করতে চেয়ে কেন্দ্রের আবেদন খারিজ করল তামিলনাড়ু সরকার।
বৃহস্পতিবার সকালে চেন্নাই সেন্ট্রাল স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা বেঙ্গালুরু-গুয়াহাটি এক্সপ্রেসের দু’টি কামরায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় একজনের, আহত হন অন্তত ১৪জন। ঘটনার তদন্তে সাহায্য করতে চেয়ে তামিলনাড়ু সরকারকে অনুরোধ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তদন্তের জন্য এনআইএ ও এনএসজি-র একটি দলকে চেন্নাই পাঠানোর তোড়জোড় শুরু করে কেন্দ্র। কিন্তু তদন্তের কাজে কেন্দ্রকে ‘নাক না গলাতে’ বলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা। ব্যবহৃত বিস্ফোরকের প্রকৃতি ও আটক ব্যক্তিদের সম্বন্ধে কোনও তথ্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে জানাতে অস্বীকার করে রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক মুখপাত্র জানান, “আমরা সব রকম সাহায্যের জন্য তৈরি থাকলেও রাজ্য সরকার জানিয়েছে তারা নিজেরাই তদন্ত করতে সক্ষম।”
বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা নাগাদ চেন্নাই সেন্ট্রাল স্টেশনে এসে পৌঁছয় বেঙ্গালুরু-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস। এর মিনিট দশেক পরে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনটির এস-৪ এবং এস-৫ কামরায় বিস্ফোরণ হয়। মৃত্যু হয় এক মহিলা যাত্রীর, আহত হন অন্তত ১৪জন। রেলের এক আধিকারিক জানান, ট্রেনটি কর্নাটক ছাড়ার সময়ে এক প্রস্থ তল্লাশি চালানো হলেও মেলেনি কিছুই। যাত্রাপথের মাঝামাঝি কোথাও বিস্ফোরক রাখা হয়েছিল বলে দাবি করেছেন তিনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করে রাজ্যের বিশেষ তদন্তকারী দল সিবি-সিআইডি। প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীরা জানান অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট এবং সালফার জাতীয় বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল। ট্রেনটি এক ঘণ্টা দেরিতে চলায় অন্য কোনও জায়গায় হামলার পরিকল্পনাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দু’জনকে গ্রেফতার করা হলেও তাঁদের সম্বন্ধে বিশদ ভাবে কিছুই জানাননি তদন্তকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy