মঙ্গলবার হনুমানজির বার। এ কথা আমরা অনেকেই জানি। তবে শনিবার দিনটিও যে তাঁর দিন সেটা অনেকের কাছেই অজানা। সপ্তাহের এই দুই দিন বজরংবলির আরাধনা করলে বিশেষ ফলপ্রাপ্তি হয় বলে বিশ্বাস। সাহস ও একাগ্রতা বৃদ্ধি পায়। যে কোনও কাজ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে করার শক্তি পাই আমরা। হনুমানজির কৃপায় অর্থভাগ্যও উন্নত হয়। এই দুই দিন হনুমান চালিশা পাঠের নির্দেশও দেওয়া হয়। তাতে আরও ভাল ফলপ্রাপ্তি ঘটে। তবে ব্যস্ত জীবনে অনেকের পক্ষেই সম্পূর্ণ হনুমান চালিশা পাঠ করা সম্ভবপর হয়ে ওঠে না। সে ক্ষেত্রে পাঁচ কার্যকরী হনুমান মন্ত্র পাঠ করা যেতে পারে। সেগুলি পাঠের গুণাগুণ কী জেনে নিন।
আরও পড়ুন:
১. ওম হনুমতে নমো— শাস্ত্রমতে, এটি হনুমানজির মূল মন্ত্র। প্রতি মঙ্গলবার ও শনিবার স্নানের পর মুখে ও হাতে একটি করে তুলসীপাতা নিতে এই মন্ত্রটি ১০৮ বার জপ করতে পারলে খুব ভাল ফল পাওয়া যায়। মনের সকল বাসনা পূরণ হয় বলে বিশ্বাস রয়েছে।
২. ওম নমো ভগবতে আঞ্জনেয়ায় মহাবলায় স্বাহা— জীবনে একের পর এক বাধার সম্মুখীন হতে হলে এবং সমস্যা কোনও মতে পিছু না ছাড়লে এই মন্ত্রটি পাঠের নির্দেশ দেওয়া হয়। এটি জপ করলে রাহু-কেতুর কুপ্রভাব থেকে অনেকটা মুক্তি পাওয়া যায়। মঙ্গলবার বা শনিবার বজরংবলিকে ছোলা ও গুড় নিবেদনের পর এই মন্ত্রটি ১৮ বার জপ করুন।
আরও পড়ুন:
৩. ওম হং রুদ্রাত্মাকায় হুং ফট্— এটিকে হনুমানজির বীজমন্ত্র বলা হয়। এটি অত্যন্ত শক্তিশালী একটি মন্ত্র। মঙ্গলবার ও শনিবার করে ১০৮ বার মন্ত্রটি জপ করতে হবে। এর ফলে শত্রুদের কুনজর থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে ও সাহস বৃদ্ধি পাবে।
৪. ওম নমো ভগবতে হনুমতে নমো— এই মন্ত্র জপ করলে জীবনে পজ়িটিভ শক্তির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। সাহসের সঙ্গে যে কোনও কাজ করার শক্তি পাই আমরা। মন শান্ত হয় ও ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। মঙ্গলবার ও শনিবার করে স্নানের পর শুদ্ধ বসনে হনুমানজিকে লাল ফুল ও তুলসীপাতা অর্পণের পর এই মন্ত্র জপ করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন:
৫. ওম হং পবনন্দনায় স্বাহা— এটি হনুমানজির অন্যতম শক্তিশালী মন্ত্র হিসাবে পরিচিত। মঙ্গলবার ও শনিবার করে এই মন্ত্র জপ করলে খুব ভাল ফল পাওয়া যায়। এই মন্ত্র জপের ফলে আমাদের উদ্বেগ এবং ভয় কমে। সাহস ও কর্মশক্তি বৃদ্ধি পায়। এর ফলে যে কোনও কাজ আমরা একাগ্রতার সঙ্গে করতে পারি।