জাল নোট সমেত কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)-এর জালে ধরা পড়ল এক ব্যক্তি। শুধু তাই নয়, দেশি-বিদেশি মুদ্রার একাধিক ছাঁচ-সহ জাল নোট ছাপানোর একটি যন্ত্রও উদ্ধার হয়েছে তার বাড়ি থেকে। ধৃতের নাম চন্দ্রশেখর জায়সবাল। তার বাড়ি মানিকতলার সিআইটি রোডে। প্রায় দশ কোটি টাকা জাল নোটের পাশাপাশি চার-পাঁচটি দেশের মুদ্রাও পাওয়া গিয়েছে ওই ব্যক্তির কাছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত শুক্রবার রাতে আমহার্স্ট স্ট্রিট ও বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের সংযোগস্থল থেকে আটক করা হয় চন্দ্রশেখরকে। এসটিএফ-এর কাছে খবর ছিল, ওই দিন কোনও এক ব্যক্তিকে কিছু জাল নোট দিতে সেখানে আসার কথা ছিল পেশায় ছাঁট-লোহার এই ব্যবসায়ীর। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে হানা দেয় এসটিএফ। হাতেনাতে ধরা হয় তাকে। ঘটনাস্থলেই তার কাছে প্রায় ২০০টি হাজার টাকার নোট উদ্ধার হয়।
এসটিএফ-এর জেরায় চন্দ্রশেখর জানায়, হাওড়ার ডোমজুড়ে তার একটি গোডাউন রয়েছে। পর দিন সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। ওই গোডাউন থেকে প্রায় দশ কোটি টাকার জাল নোট উদ্ধার হয়। পাশাপাশি মার্কিন ডলার, ইউরো-সহ প্রায় চার-পাঁচটি দেশের মুদ্রাও পাওয়া যায়। কিন্তু, ভারতীয় টাকায় তার সম্ভাব্য মূল্য কত, তা এখনও জানা যায়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে। এর পর চন্দ্রশেখরের মানিকতলার বাড়িতে তল্লাশি চালায় এসটিএফ। সেখান থেকে জাল মুদ্রা ছাপানোর বেশ কয়েকটি ছাঁচ (ডাইস) উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ওই ব্যক্তির সঙ্গে কোনও জঙ্গি সংগঠনের যোগ পাওয়া যায়নি। তবে তাদের ধারণা, যে ছাঁচ এবং যন্ত্রের সাহায্যে ওই টাকা ছাপানো হয়েছে তা বিদেশ থেকেই আমদানি করা হয়েছে। কী ভাবে এ কাজ সম্ভব হল তা খতিয়ে দেখছে এসটিএফ। কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (এসটিএফ) অমিত জাভালগি বলেন, “শুধু চন্দ্রশেখর নয়, এই জাল নোট চক্রের সঙ্গে আরও অনেকেই যুক্ত। তাদের সন্ধান চলছে।” পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, এত বড় সাফল্য এর আগে কলকাতা পুলিশ পায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy