প্রচণ্ড বৃষ্টিতে অসমের পাঁচটি জেলা বন্যার কবলে পড়েছে। কোমর-জলে ডুবেছে রাজধানী গুয়াহাটির অধিকাংশ এলাকাও। সেখানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এবং ধসে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ১২ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত আরও বাড়বে।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, জলমগ্ন এলাকা থেকে প্রায় ২৪ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অনেক নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। আকাশ-ভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত গুয়াহাটির জনজীবন। রাজধানীর বেশির ভাগ জায়গা বিদ্যুৎহীন। অফিসগুলিতে কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। জল ঢুকেছে বিধানসভা-সংলগ্ন বিধায়কদের আবাসনেও। রাস্তায় দেখা মিলছে না যানবাহনের। রাজগড়ে জলে ডুবে থাকা একটি এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখে পড়েন। বিপর্যয় মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ করতে তিনি রাজ্যের মুখ্যসচিব জিতেশ খোসলাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
বন্যা বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে তরুণ গগৈ।
পুলিশ জানিয়েছে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বা ধসের জেরে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গুয়াহাটির বিভিন্ন এলাকায় পৃথক দুর্ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। দিসপুরের বিধায়ক নিবাসে তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হয় দীনেশ দাস নামে এক সরকারি কর্মীর। নবীননগরে নিজের বাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারান অরুণাচল প্রদেশের সংস্কৃতি বিভাগের কর্মী প্রফুল্ল দাস। ডাউন টাউনের জি এস রোডে একই ভাবে দুই পথচারীর মৃত্যু হয়েছে। ভাঙাগড়ে ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় এক পরিবারের তিন জনের। বামুনি ময়দানে ধসের শিকার হন এক মহিলা। অনিলনগরে এক যুবক বন্যার জলে ভেসে গিয়েছেন।