২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জিতে অসমের প্রথম মুসলিম বিজেপি বিধায়ক হওয়ার নজির তৈরি করেছিলেন তিনি। বরাক উপত্যকার সেই জনপ্রিয় নেতা আমিনুল হক লস্কর লোকসভা ভোটের আগে যোগ দিলেন কংগ্রেসে।
এআইসিসির পর্যবেক্ষক জিতেন্দ্র সিংহের উপস্থিতিতে ‘হাত’ পতাকা হাতে নেওয়ার পরে আমিনুল বলেন, ‘‘আমি গত ১৩ বছর ধরে বিজেপি করেছি। কিন্তু অসমে বিজেপি তার রাজনৈতিক আদর্শ হারিয়েছে। অসম এবং অসমবাসীর স্বার্থে তাই এই সিদ্ধান্ত নিলাম।’’
আরও পড়ুন:
২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে শিলচরের সোনাই কেন্দ্র থেকে ‘পদ্ম’ প্রতীকে লড়ে জয়ী হয়েছিলেন আমিনুল। অসম-সহ গোটা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রথম মুসলিম বিজেপি বিধায়ক হওয়ার নজির তৈরি করেছিলেন তিনি। কিন্তু ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে ‘অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট’ (এআইইউডিএফ)-এর প্রার্থীর কাছে হেরে গিয়েছিলেন তিনি। এর পর মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সরকার তাঁকে সে রাজ্যের সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারপার্সন নিয়োগ করেছিল।
লোকসভা ভোটের আগে আমিনুলের কংগ্রেসে যোগদান বরাক উপত্যকায় কংগ্রেসকে বাড়তি শক্তি জোগাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। গত শুক্রবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গেকে চিঠি লিখে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেওয়া বরপেটার কংগ্রেস সাংসদ আব্দুল খালেক বুধবার সিদ্ধান্ত বদলের কথা জানিয়েছিলেন। দিল্লিতে সনিয়া গান্ধী এবং খড়্গের সঙ্গে বৈঠকের পরে তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি কংগ্রেসে রয়েছি। কংগ্রেসেই থাকব।’’
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, বুধবার দেশের চার রাজ্যে চার নেতার কংগ্রেসে যোগদানের ঘটনা ঘটেছে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা প্রাক্তন সাংসদ লাল সিংহ, বিহারের প্রাক্তন সাংসদ তথা জন অধিকার পার্টির প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি পাপ্পু যাদব, উত্তরপ্রদেশের আমরোহার বিদায়ী সাংসদ তথা সাসপেন্ড হওয়া বিএসপি নেতা দানিশ আলি এবং ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ জেলার মান্ডু কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক জয়প্রকাশ পটেল।