ফাইল চিত্র।
শরীর আগের চেয়ে সামান্য ভাল ছিল। তাঁর নিজের উৎসাহও ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ভোট দিতে বেরোনোর অনুমতি দিলেন না চিকিৎসকেরা। তাই এ বারও ভোট দেওয়া হল না প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। দু’বছর আগে লোকসভা নির্বাচনেও ভোট দিতে পারেননি তিনি।
বয়স ৮০ বছরের উপরে বা শারীরিক ভাবে অশক্ত, এমন ভোটারদের জন্য এ বার পোস্টাল ব্যালটের বন্দোবস্ত করেছিল কমিশন। বয়সের ওই কোটার অন্তর্ভুক্ত না হলেও শারীরিক অসুবিধার কারণে পোস্টাল ব্যালটের সুবিধা নেওয়ার সুযোগ ছিল বুদ্ধবাবুর। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য সেই আবেদন করতে রাজি হননি। শরীর সায় দিলে বুথে গিয়েই ভোট দেওয়ার পক্ষপাতী ছিলেন তিনি। কিন্তু ইতিমধ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বুদ্ধবাবুকে আর বুথে যাওয়ার ঝুঁকি নিতে দেননি চিকিৎসকেরা। এমনিতেই অক্সিজেনের সাহায্য লাগে সিওপিডি-র সমস্যায় জর্জরিত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর।
পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়ি থেকে সোমবার পাঠভবন স্কুলের বুথে ভোট দিতে গিয়েছিলেন বুদ্ধবাবুর স্ত্রী মীরা ও কন্যা সুচেতনা ভট্টাচার্য। ওই আবাসনেরই বাসিন্দা, কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যও ভোট দিয়েছেন সকাল সকাল। মীরাদেবীরা ভোট দেওয়ার পরেই সিপিএমের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, বুদ্ধবাবু এ বার আর ভোট দিতে যাবেন না। পাঁচ বছর আগে বিধানসভা নির্বাচনে বুদ্ধবাবু যখন শেষ বার ভোট দিয়েছিলেন, তখন বালিগঞ্জ কেন্দ্রে প্রার্থী ছিলেন কংগ্রেসের কৃষ্ণা দেবনাথ। তার পরে গত লোকসভা ভোটে দক্ষিণ কলকাতায় বুদ্ধবাবুরই দল সিপিএমের প্রার্থী ছিল এবং এ বারও বালিগঞ্জে সিপিএমের হয়ে লড়ছেন ফুয়াদ হালিম। যিনি বুদ্ধবাবুরও চিকিৎসা করে থাকেন। শেষ পর্যন্ত স্বাস্থ্যজনিত কারণেই চিকিৎসক-প্রার্থীকে ভোট দেওয়া হল না বুদ্ধবাবুর!
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দফতরে সংযুক্ত মোর্চার প্রতিনিধিদল নিয়ে গিয়ে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রবীন দেব এ দিনই প্রশ্ন তুলেছেন, কমিশনের নির্দেশে সব ব্যবস্থার কথা থাকলেও আখেরে এখানে কত জন আশির ঊর্ধ্বে ভোটার পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পেরেছেন? কমিশনের কাছে সেই সংখ্যা প্রকাশের দাবি তুলেছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy