অনেক দিন ধরেই তাঁর নাম রাজনৈতিক আলোচনায় রয়েছে। বড়ফুলের প্রতি তাঁর দুর্বলতার কথাও শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু তিনি নিজে কখনও সেটা স্পষ্ট করেননি। অবশেষে সোমবার বিকেলে সব জল্পনার অবসান ঘটল। বিজেপি-তে যোগ দিলেন টলিউডের অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তী। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাত থেকে দলীয় পতাকা তুলে নিলেন আরও অনেকের সঙ্গে। তবে তাঁরা কেউ বিনোদন জগতের নন, রাজনীতির মানুষ। সোমবার বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলের পাঁচ বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টচার্য, সোনালি গুহ, শীতল সর্দার, দীপেন্দু বিশ্বাস এবং জটু লাহিড়ি। যাঁরা কেউই এবার তৃণমূলের টিকিট পাননি। তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন আরও অনেক রাজনীতিক। রাজনীতিকদের সেই ভিড়ে আলো করে বিনোদন দুনিয়ার একা প্রতিনিধি ছিলেন তনুশ্রী।
সোমবার দিলীপ ছাড়াও শুভেন্দু অধিকারী, মুকুল রায়, লকেট চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে বিজেপি-র যোগদান পর্ব হয়। পদ্মফুলে যোগ দিয়ে তনুশ্রী বলেন, ‘‘আজ নারী দিবস। তাই এই বিশেষ দিনে জীবনেরও একটি বিশেষ অধ্যায় শুরু করলাম।’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘সব সময় মানুষের সঙ্গেই কাজ করেছি। মানুষকে আনন্দ দিয়েছি সিনেমার মাধ্যমে। এখন একটা অন্য পদক্ষেপ করলাম। নতুন জন্ম হল আমার।’’ তনুশ্রী বাংলা চলচ্চিত্রে চেনামুখ। অতীতে অবশ্য তাঁকে কখনও রাজনীতির মঞ্চে দেখা যায়নি। তবে সম্প্রতি অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত এবং সায়নী ঘোষকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিং শুরু হওয়ার সময় দুই সহকর্মীর পাশেই দাঁড়িয়েছিলে তনুশ্রী। তবে তাঁদের রাজনীতিতে অন্য পথে গেল। সায়নী তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন। প্রসঙ্গত, বিজেপি তনুশ্রীকে প্রার্থী করবে কি না, সে ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।