রাজ্যে ২৭তম স্টেট এলিজিবিলিটি টেস্ট (সেট)-এর আবেদন গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ১ অগস্ট থেকে ৩১ অগস্ট পর্যন্ত আগ্রহীরা ওই পরীক্ষায় বসার জন্য অনলাইনে আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণেরা অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হিসাবে চাকরি করার সুযোগ পাবেন। আবেদনের জন্য এগজ়ামিনেশন ফি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
কারা সুযোগ পাবেন?
- স্নাতকোত্তর যোগ্যতা অর্জন করেছেন, এমন ব্যক্তিরা উল্লিখিত পরীক্ষাটি দিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে তাঁদের স্নাতকোত্তর স্তরে ন্যূনতম ৫৫ শতাংশ নম্বর পাওয়া আবশ্যক।
- এ ছাড়াও যে সমস্ত ব্যক্তিরা পিএইচডি ডিগ্রিও অর্জন করেছেন, তাঁরাও এই পরীক্ষাটি দিতে পারবেন।
- তবে, মোট ৩৩টি বিষয়ে দু’টি পেপারে পরীক্ষা নেওয়া হবে। ওই তালিকায় না থাকা বিষয়ে যাঁরা স্নাতকোত্তর স্তরে উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাঁরা সেট দিতে পারবেন না।
- এ ছাড়াও পূর্বে যে বিষয়ে সেট উত্তীর্ণ হয়েছেন, সেই বিষয়ে নতুন করে পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি মিলবে না।
ওএমআর শিটে পরীক্ষা নেওয়া হবে। প্রতীকী চিত্র।
বিষয়গুলির তালিকা:
যে ৩৩টি বিষয়ে পরীক্ষা দিতে পারবেন, সেগুলি হল— বাংলা, ইংরেজি, সংস্কৃত, হিন্দি, উর্দু, বাণিজ্য, অর্থনীতি, ইতিহাস, দর্শন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, এডুকেশন, কেমিক্যাল সায়েন্সেস, ভূগোল, লাইফ সায়েন্সেস, ম্যাথমেটিক্যাল সায়েন্সেস, ফিজ়িক্যাল সায়েন্সেস, সোশিয়োলজি, মনোবিদ্যা, লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফরমেশন সায়েন্স, ফিজ়িক্যাল এডুকেশন, ইলেকট্রনিক সায়েন্স, কম্পিউটার সায়েন্স, হোম সায়েন্স, সাঁওতালি, গণজ্ঞাপন এবং সাংবাদিকতা, নৃতত্ত্ব, আর্থবিজ্ঞান, সঙ্গীত, আইন, নেপালি, ম্যানেজমেন্ট, আরবি এবং এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস।
পরীক্ষার সময় এবং তারিখ:
১৪ ডিসেম্বর সেট নেওয়া হবে। ওই দিন প্রথম পত্রের পরীক্ষা বেলা সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা বেলা ১২টা থেকে বেলা ২টো পর্যন্ত চলবে। প্রথম পর্বের পরীক্ষার জন্য সকাল ৯টার মধ্যে এবং দ্বিতীয় পর্বের পরীক্ষার জন্য বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করা আবশ্যক।
পরীক্ষার পূর্ণমান:
প্রথম পত্রের পরীক্ষা ১০০ নম্বরের এবং দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা ২০০ নম্বরের। প্রথম পত্রে ৫০টি প্রশ্ন এবং দ্বিতীয় পত্রে ১০০টি প্রশ্ন থাকবে। সবই ‘অবজেক্টিভ’ বা নৈর্বক্তিক প্রশ্ন। তাই পরীক্ষার্থীদের ওএমআর শিটে উত্তর লিখতে হবে। কালো কালির কলম ছাড়া অন্য কোনও রঙের কলম ব্যবহারের অনুমতি এ ক্ষেত্রে নেই।
কোথায় পরীক্ষা হবে?
রাজ্যের ২৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হবে— কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, হাওড়া, দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, বীরভূম, বাঁকুড়়া, ঝাড়গ্রাম, নদিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, পুরুলিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর।
দুটি পর্বে পরীক্ষা নেওয়া হবে, তাই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করা প্রয়োজন। প্রতীকী চিত্র।
আবেদন এবং পরীক্ষা সংক্রান্ত আরও তথ্য:
- এগজ়ামিনেশন ফি হিসাবে ১,৪০০ টাকা জমা দেওয়া প্রয়োজন। এর আগে ২০২৪-এ ওই মূল্য ১,৩০০ টাকা ধার্য করা হয়েছিল।
- অনলাইনে আবেদনের পর ত্রুটি সংশোধনের জন্য ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ কলেজ সার্ভিস কমিশনের তরফে পোর্টাল চালু রাখা হবে।
- অনলাইনে পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড সংগ্রহ করতে হবে।
- নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া শুরু করবে কমিশন।
- পরীক্ষার দিন অ্যাডমিট কার্ডের সঙ্গে পরিচয়পত্র রাখা আবশ্যক।
রাজ্যের কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অধ্যাপনার জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষায় (সেট) জালিয়াতি রুখতে প্রযুক্তির ব্যবহারের উপর জোর দিয়েছিল ওয়েস্ট বেঙ্গল কলেজ সার্ভিস কমিশন। প্রশ্নপত্রে জিপিএস ট্র্যাকিং থেকে শুরু করে প্রশ্নপত্রের ট্রাঙ্কে মেকানিক্যাল কম্বিনেশন কোড যুক্ত বিশেষ তালা ব্যবহার করা হয়েছিল। চলতি বছরের পরীক্ষায় আরও কোন বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে কী না, তা শীঘ্রই জানাবে কমিশন।